/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/18/pujo-2025-09-18-14-42-55.png)
যা জানা যাচ্ছে এই গান নিয়ে...
হুলিগানিজম বলতেই কি শুধু মেলার গান? সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে যে গানগুলি তাঁরা ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেন, সেগুলি তো ঝলক মাত্র। তাঁদের ঝোলায় আরও যে কতধরণের গান রয়েছে, শুধু তারাই জানে। এই সেকারণেই তো পুজো উপলক্ষে যখন নতুন গান প্রকাশ করা হল, তখন সেই গান নিয়েও নানা আলোচনা। কিছুদিন আগেই তাঁদের স্টেজ পারফরমেন্স নিয়ে নানা কথা হয়। আর বর্তমানে তাঁদের পুজোর মিষ্টি গান - 'এই দুর্গা এদিকে আয় ..' বেশ পছন্দ হচ্ছে সকলের।
মেলার গান দিয়েই হুলিগানিজম দর্শকদের মধ্যে যাত্রা শুরু করে। সেই গান এতই জনপ্রিয় হয়, যে তারপর থেকে এই ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এবং তাঁদের পুজোর গান নিয়েও এবার আলোচনা তুঙ্গে। পুজো মানেই গান। কিন্তু, শুধুই যে একরকম গান এমনটা কিন্তু না। হুলিগালিজম মনে করে, পুজোয় মাটির সঙ্গে জুড়ে গান গাইতে পারলে এর থেকে আনন্দের আর কিছুই হয় না। সেই চিরাচরিত নীল রঙের পোশাক, এবং তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকটা ফুটফুটে বাচ্চা। তাঁরা পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা। একদলে ছুটে চলেছে, পুজোর আনন্দে।
Deepika Padukone: একের পর এক খারাপ খবর, মা হতেই বড় মাশুল গুনছেন দীপিকা!
এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই গান পুজোর গান। এবং মানুষের বিশ্বাস থেকে আশা, আস্থা সবকিছু মিলিয়েই এই গান। মানুষের সংস্কৃতিকে আমরা স্যালুট জানাই। কিন্তু, এই গান বানানোর নেপথ্যে ছোট্ট করে গল্প বললেন, ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য বাবান অর্থাৎ শুভদ্বীপ গুহ। কী বলছেন তিনি? তাঁর কথায়...
"পুজোর গানের আগে ভাবনা ছিল খুব সিম্পল। বাংলা মানে কিন্তু শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়। গ্রাম মফস্বল সব রয়েছে। ছোটবেলায় যে পুজো ছিল, আমরা যেটা দেখেছি সেসময় ওটা একেবারেই অন্যরকম ছিল। এখন পুজোর আনন্দ - আবহ সবটাই পাল্টে গিয়েছে। সেই পুজোগুলোকে আমরা খুব মিস করি। তাই আমরা ভেবেছিলাম এবার, সেই বৃহত্তর বাংলার গানগুলো আমরা গাইব। এছাড়াও আমাদের যে লোকগান কিংবা ভিন্ন ধরনের যে লোকসংগীত, সেটা তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের গানে ঢাক কাঁসর রয়েছে। কিন্তু ভিন্ন ধরনের সুর রয়েছে।"
মা দুর্গা বাপের বাড়ি ঘুরতে আসেন বছরের এই ৫ দিন। তখন তাঁকে নিজের বাড়ির মেয়ের মতো রাখা হয়। আদর আপ্যায়নে উমাকে এই ৫ দিন ভরিয়ে দেওয়া হয়। মা দুর্গার সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক এই বাংলার প্রতিটা মানুষের। বাবানের কথায়, "বাঙালি এবং বাংলার প্রতিটা মানুষের কাছেই ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক। তাঁদেরকে বাড়ির একজন সদস্য হিসেবে দেখা হয়। অনেকেই শিবকে আদর করে বাবা বলে ডাকেন। এবং এটাই আমাদের ঈশ্বরের সঙ্গে ভালবাসা। এখন অন্য জায়গা থেকে আরোপিত কিছু তো সঠিক না। মা দুর্গা যখন বাপের বাড়ি আসেন, তাঁকে মেয়ে হিসেবে রাখা হয় আমাদের মধ্যে। সেকারণেই এই গানে আমরা যে ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে নিয়ে কাজ করেছি, ওরা সেটাই ফুটিয়ে তুলেছে।"