স্বস্তিকা। নামটার মানেই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘বিতর্ক থেকে স্বস্তি নেই’। তিনি যাই করুন না কেন, ঠিক কোথা থেকে একটা ‘নীতি পুলিশের আঙুল’ চলে আসে সামনে। তবুও ঠিক-ভুল প্রকাশ্যে বলা নিয়ে তিনি আজও অকপট। এত গৌরচন্দ্রিকার কারণ স্বস্তিকার সাম্প্রতিক সোশাল মিডিয়া পোস্ট।
কিছুদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় মেয়ের চেহারা নিয়ে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এক সঞ্চালিকা ও গায়িকা। কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ''গান গাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় সুরেলা গলা, আর নাচের জন্য স্লিম ফিট বডি। ছাদে, খাটের উপর থপথপ করে চর্বিওয়ালা শরীর নিয়ে হাত নাড়ালে সেটা কুৎসিত লাগে দেখতে।'' তাতেই চটেছিলেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন, লকডাউনে তৈরি পায়েলের শর্ট ফিল্ম ‘একটি তারা’, গা ছমছমে দুঃস্বপ্নের গল্প
যদিও পরবর্তীতে সেই পোস্ট মুছে দেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে স্ক্রিনশট ছড়িয়ে গিয়েছে। বরাবর স্পষ্টবাদী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবার মুখ খুললেন এই বিষয়ে। সোশাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখলেন, ''এই সময়ে দাঁড়িয়েও এগুলো হচ্ছে! এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে চারদিকে এত হাহাকার, এতো মৃত্যু, অবসাদ, মানুষ একা আটকে পড়ে আছে, বাবা মায়ের মৃত্যুর সময়েও পাশে থাকতে পারছে না, নিজেদের ব্যস্ত বা খুশি বা তার চেয়েও বড় কথা উন্মাদ হয়ে যাওয়ার থেকে বাঁচার জন্যে সোশাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। যার যা খুশি করছে, এত সময় নিয়ে কী করবে না হলে? সেখানে এত বিদ্বেষ কীসের? একে অপরের প্রতি এত রাগ, অপমান কেন? এরা শিল্পী? এমন ছোট কদর্য মন নিয়ে শিল্পী হওয়া যায়? কী লজ্জার!''
আরও পড়ুন, ”আমাদের গল্প ফুরলো”, ঋষি প্রয়াণে নীতু
বরাবর স্পষ্ট কথা বলেতেই ভালবাসেন স্বস্তিকা মুখোপাাধ্যায়। সোশাল মিডিয়ায় ‘বডি শেমিং’-এর বিরুদ্ধে সোচ্চার এই প্রথমবার হলেন এমনটাও নয়। ইন্ডাস্ট্রির মানুষের বিরুদ্ধে আগাগোড়া কথা বলেছেন তিনি, ''এবারও এর অন্যথা হল না। বললেন, কেউ কাউকে আক্রমণ করলেই বাদ দিয়ে দেব। আর সবাই একটু সোচ্চার হন, 'থাক বাদ দাও' আর 'যাকগে' বলার দিন শেষ। দিন এমনিই শেষ!''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন