Actress Death: ১৯-এ সব শেষ! মদ্যপ অবস্থায় বারান্দা থেকে পরে মর্মান্তিক মৃত্যু, আগের মুহূর্তে কী করেছিলেন অভিনেত্রী?

Actress  spent hours before Death: সালটা ছিল ১৯৯০। তেলুগু মুভি Bobbili Raja দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ। দু'বছর পর বিশ্বআত্মা-র হাত ধরে বলিউডে হাতেখড়ি। বিটাউনের তাবড় তারকাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। কেরিয়ার যখন মধ্যগগনে তখনই সব শেষ। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তিনি নান আদার দ্যান দিব্যা ভারতী। ১৯৯৩ সালে দিব্যার মৃত্যু সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তাঁর মৃত্যু ঘিরে অনেক চর্চাও হয় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে। মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টের পাঁচতলার বারান্দা থেকে পরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা যায়। মর্মান্তিক মৃত্যুর আগের মুহূর্তগুলো কেমন ছিল দিব্যা ভারতীর? চেন্নাইয়ে শুটি সেরেছিলেন। ফ্যাশন ডিজাউনার নীতা লুল্লার সঙ্গে পরবর্তী সিনেমার জন্য দেখা করারও কথা ছিল দিব্যার।  

নীতা তাঁর স্বামী শ্যামের সঙ্গে অভিনেত্রীর অ্যাপার্টমেন্টে আসেন। সকলে একসঙ্গে মদ্যপানও করেন। অভিনেত্রীর বাড়ির পরিচারিকা তাঁদের জন্য সাইড ডিসও বানিয়ে দেন। টিভি দেখতে দেখতে সেই মুহূর্তটা এনজয় করেছিলেন। তার মাঝেই দিব্যা বারান্দায় এসে বসেন। কিন্তু, যেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বেসামাল হয়ে বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান অভিনেত্রী। ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে। প্যারাম্যাডিকলের লোকজন পৌঁছনোর সময়ও নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন। কিন্তু, মারাত্মক চোটের কারণে মারা যান দিব্যা ভারতী। তাঁর মৃত্যুর পর অনেকে এটিকে খুন বলে দাবি করেছিলেন। কারও মতে আবার আত্মহত্যা। নয়ের দশকের বলিউডের উপর আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের একটা বিশেষ প্রভাব ছিল। দিব্যা ভারতীর মৃত্যুতে আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হয়নি।  

কিন্তু, পরে অবশ্য দিব্যা ভারতীর বাবা সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছিলেন। তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী, 'খুন বা আত্মহত্যার কোনও যোগ নেই। মদ্যপানের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, এক ঘণ্টা বা আধ ঘণ্টায় একজন মানুষ কতটা মদ্যপান করতে পারে? তবে ও কিন্তু, অবসাদগ্রস্থ ছিল না। এটা দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়। বারান্দার একদম ধারে বসে ছিল। ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। প্রত্যেকের বারান্দায় গ্রিল ছিল। কিন্তু, ওঁর বারান্দায় ছিল না। গাড়িগুলো বারান্দায় নীচেই পার্ক করা থাকত। কিন্তু, সেই রাতে একটি গাড়িও ছিল না। তাই বারান্দা থেকে সোজা মাটিতে পড়ে যায়।' দিব্যা ভারতীর মৃত্যুতে বেশ কিছু ছবির কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছিল। অনিল কাপুর-রবিনা ট্যান্ডনের লাডলায় দিব্যার পরিবর্তে এন্ট্রে নেন শ্রীদেবী। এছাড়াও অসমাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে ছিল দিওয়ালে, মোহরা ও বিজয়পথ। 

আরও পড়ুন ক্যামেরার সামনে জাপটে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট, বাঙালি অভিনেতার কীর্তিতে রেগে কাঁই অভিনেত্রী