Sreemoyee-Kanchan Valentines Day: আজ থেকে ঠিক একবছর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রেমদিবসে সকলকে চমকে দিয়ে আইনত স্বামী-স্ত্রী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাঁদের প্রেম নিয়ে একটা সময় বিস্তর চর্চা হয়েছিল। কিন্তু, কেউই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখে রা কাটেননি। ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন সই বিয়ে সারেন তারকা দম্পতি। দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর। কোলে এসেছে লক্ষ্মীছানা কৃষভি।। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার শ্রীময়ী চট্টোরাজের। তিন মাসের মেয়েকে নিয়ে আইনি বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি কী ভাবে সেলিব্রেট করবেন শ্রীময়ী-কাঞ্চন?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে শ্রীময়ী বললেন, 'পরিবার আর কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছোট করে সেলিব্রেট করব। খাওয়াদাওয়া-গানবাজনা হবে। মেয়ে খুবই ছোট। তাই বাড়িতে কোনও আয়োজন করিনি। এখন আসলে মেয়ের জন্য বাড়িতে বাইরের লোক খুব বেশি আসে না। অত হইহুল্লোর বাড়িতে হলে ওর সমস্যা হবে। ৬ মাস পর্যন্ত একটু সাবধানে রাখতে হবে। তাই বাইরেই একটা গেট টুগেদারের আয়োজন করেছি। মেয়েকে একটা ভ্যালেন্টাইনস ডে স্পেশাল জামা পরাব। এখন তো মা-বাবাই ওর কাছে ভ্যালেন্টাইন। বড় হলে নিজের ভ্যালেন্টাইকে সামলাবে (হাসি)।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/48045fd5-f24.jpg)
আমার কাছে প্রত্যেকটা দিনই ভ্যালেন্টাইনস ডে। আমি রোজ প্রেমে থাকতে ভালবাসি। আমার কাছে প্রেমের জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিনের প্রয়োজন নেই। ভালবাসার মানুষ সঙ্গে থাকলে রোজই প্রেমদিবস। আমরা বিয়ের আগেও কোনওদিন ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেট করিনি। শুধু একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারে যেতাম। ক্যান্ডেললাইট ডিনারেও কখনও যাইনি আমরা। তবে ছোটবেলায় যখন প্রেম করেছি তখন এই দিনগুলোর একটা আলাদা ভ্যালু ছিল। তখন গিফট দেওয়া-নেওয়া হত, ঘুরতে যেতাম। সেই সময় তো ব্রেক আপ-ডেও পালন করতাম। মজা করেই ব্রেক আপ করতাম শুধুমাত্র দিনটা পালন করব বলে। এগুলো ছোটবেলার মিষ্টি স্মৃতি। আর গিফট পেতে কে না ভালবাসে। এই বছর রেজেস্ট্রি ম্যারেজের একবছর উপলক্ষে দিনটা পালন করছি।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/0f1f3e24-5f5.jpg)
প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে কাঞ্চনের থেকে অনেক উপহার পেয়েছি। টেডি বিয়ার, চকোলেট, সোনার পেনডেন্ট দিয়েছে। শুধু আমার জন্য নয়, মেয়ের জন্যও গিফট এনেছে। তবে আমার যে গিফটটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে সেটা হল জীবনে প্রথমবার নিজের হাতে আমাকে চিঠি লিখে দিয়েছে। আমি আগে লিখেছিলাম। কিন্তু, ও কখনও লেখেনি। এটা সত্যিই আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। বিয়ের একটা বছর যে কী ভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। শুধু এটা বুঝছি মেয়ে হওয়ার পর দায়িত্ব বেড়েছে। বাকি আর কিছুই বদলায়নি। রেজেস্ট্রি ম্যারেজের পরই সোশ্যাল ম্যারেজের একটা তাড়হুড়ো ছিল। এরপরই জীবনে এল কৃষভি। সব মিলিয়ে একটা বছরে অনেক কিছু পেলাম। সময় যেন স্রোতের মতো বয়ে যায়।