মুম্বইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যেই অন্যতম চেম্বুরের আরকে স্টুডিও। বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ কাপুর ১৯৪৮ সালে এই স্টুডিওটি বানিয়েছিলেন। সিলভার স্ক্রিনে ঝড় তোলা ‘আওয়ারা’ (১৯৫১), ‘শ্রী ৪২০’ ( ১৯৫৫), ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০) ও ‘ববি’র মতো সব ছবির শুটিং হয়েছে এই স্টুডিওতেই। বিক্রির পথে এই স্টুডিও।
৭০ বছরের পুরনো এই স্টুডিও কিন্তু নিছকই আরবসাগরের তীরবর্তী আর পাঁচটা স্টুডিওর মতো নয়, ভারতীয় চলচিত্রের ঐতিহাসিক দলিলও বটে। কিন্তু আজ এই স্টুডিওর রক্ষণাবেক্ষণ করাই রীতিমতো দায় হয়ে গিয়েছে । এই ‘বিশাল সাদা হাতি’ পুষতে গিয়ে রীতিমতো ক্ষতির মুখে কাপুর খানদান। ফলে বাবার এই নির্মান আপাতত বিক্রি করে দিতে পারলেই বাঁচেন ঋষি কাপুর। রনধীর কাপুর ও রাজীব কাপুরের সঙ্গে এই স্টুডিওর সহমালিকও তিনি। ‘মুম্বই মিরর’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরকে স্টুডিও বিক্রি করে দেওয়ার কথাই জানিয়েছেন ঋষি।
চার দশকেরও বেশি পুরনো এই স্টুডিও কাপুর পরিবারের কাছে একটা আবেগ। ঋষি বললেন, “ আমাদের ভাইদের সম্পর্কটা খুবই মজবুত। কিন্তু কেউ জানে না আমাদের ছেলে বা নাতিরা কী করবে? পরের প্রজন্মের কথা বলতে পারব না। সেখানে পারিবারিক মতভেদ আসতেই পারে। হয়তো আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়ে মামলা মোকদ্দমা করেই প্রচুর টাকার বিনিময়ে এটার শেষ হবে। কিন্তু বাবা কখনই চাইবেন না যে, তাঁর ভালবাসা আর পরিশ্রমের এই ফসল আদালতের বিচারাধীন বিষয়বস্তু হয়ে উঠুক।”
আরও পড়ুন, কেরালার বন্যাদুর্গতদের পাশে রণদীপ হুডা
গত বছর ‘সুপার ডান্সার টু’ নামের রিয়্যালিটি শোয়ের শুটিং চলাকালীন এই স্টুডির একটা বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এর ফলে আরকে ফিল্মসের স্মরণিকা সব আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। নারগিস থেকে শুরু করে বৈজন্তীমালা হয়ে ঐশ্বর্য রাইয়ের অভিনীত ছবির কস্টিউম জুয়েলারি ছিল। ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিতে ব্যাবহৃত মুখোশ ও ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়’র বন্দুকটাও ছিল। এমনকি আওয়ারা, ‘সঙ্গম’ ও ‘ববি’র সেই বিখ্যাত বিশাল পিয়ানোটিও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ঋষি জানিয়েছেন কবে এই স্টুডিও বিক্রি করা হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। দিন পেরিয়ে মাস হয়ে বছরও গড়াতে পারে।