কেকে বিতর্ক রূপঙ্কর বাগচি ও ইমন চক্রবর্তীর মধ্যে যে হিমশৈলীর দেওয়াল তুলে দিয়েছিল, সেই বরফ সম্ভবত সময়ের সঙ্গে গলেছে। তার প্রমাণ মিলল গায়িকার ফেসবুক প্রোফাইলে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন দুই তারকাই। সেখানেই ইমন চক্রবর্তীকে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা গেল রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী চৈতালির সঙ্গে। কেকে-কাণ্ডের পর যেভাবে বাগযুদ্ধ চলছিল, এবার একফ্রেমে রূপঙ্কর-ইমনকে দেখে নেটপাড়াও খুশি। কেউ কেউ তো আবার টিপ্পনি কাটার সুযোগও ছাড়লেন না! দুই তারকাকে একসঙ্গে বিজয়া সম্মিলনীতে দেখে তাঁদের মন্তব্য, "ওমা তাহলে ভাব হয়ে গেছে?.."
প্রসঙ্গত, কেকে-কে নিয়ে সমালোচনা। তারপরই মুম্বইয়ের সঙ্গীতশিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণ! গত কয়েক মাসে নেটদুনিয়া একেবারে ছিঁড়ে খেয়েছে রূপঙ্কর বাগচিকে (Rupankar Bagchi)। যে বাঙালি শিল্পীদের হয়ে রূপঙ্কর হিন্দিভাষী শিল্পীর প্রতি কটাক্ষবাণ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, তাঁদেরকেই পাশে পাননি। বরং পাল্টা উড়ে এসেছে সমালোচনা, প্রতিবাদ, বিতর্ক। ইমন চক্রবর্তীও (Iman Chakraborty) ছিলেন সেই তালিকায়। তারপর এদিক-ওদিক প্রকাশ্যেই ঝগড়া, বাকবিতণ্ডা। মন কষাকষি। তবে এখন সেসব অতীত। মমতা আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে একে অপরের সঙ্গে কুশল-মঙ্গল বিনিময় করলেন রূপঙ্কর-ইমন।
উল্লেখ্য রূপঙ্কর সেসময়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘রাঘব, ইমনদের মতো শিল্পীরা কেকে-র থেকে অনেক ভাল গাইতে পারেন। তাহলে কেন বাঙালি শিল্পীদের নিয়ে মাতামাতি না করে শুধু বলিউড শিল্পীদের জন্য গলা ফাটান শ্রোতারা?’ গায়কের সেই পোস্ট দাবানল গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ইমন নিজে ফেসবুক লাইভ করে জানিয়েছিলেন, “আমার নাম রূপঙ্করদার বক্তব্যে জড়িয়েছে ঠিকই। অনেক সময়ে আমি অনেক বক্তব্যে সহমত জানাই। তবে এবার আমার সুনাম করলেও আমি তোমাকে সমর্থন করতে পারছি না। কারণ কেকে-র মতো একজন সঙ্গীতশিল্পীকে দেখতে ভিড় উপচে পড়বে, সেটাই তো স্বাভাবিক।”
<আরও পড়ুন: অসুস্থতা সত্ত্বেও পুজো কার্নিভালে দারুণ পারফরমেন্স! ডোনাকে বিশেষ পুরস্কার মমতার >
এরপর এক চ্যাট শোয়ে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন হতেই রূপঙ্কর বলেছিলেন, "ইমন ইনসিকিওরড, ভয় পেয়েছিল।" নজর এড়ায়নি গায়িকার। তিনিও পাল্টা দিয়ে বলেন, “যদি রূপঙ্কর দা আমায় ইনসিকিওরড বলে থাকে তাহলে কোথাও গিয়ে উনিও ইনসিকিওরড। আমি একজন একা মেয়ে। জীবনের লড়াইটা একাই পড়েছি। ইনসিকিওরড হলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া যায় না। মন শক্ত না হলেও কাজ করা যায় না। ” সেই মান-অভিমানের পালা যে বর্তমানে অতীত, তা ইমনের শেয়ার করা ছবি দেখেই বোঝা গেল।