Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

শিরোনামে কলকাতার মধুরা, সৌজন্যে কান চলচ্চিত্র উৎসব

কান-এর সম্পূর্ণ ফেস্টিভ্যালটাই মধুরার কাছে চমকপ্রদ। উৎসবের আমেজকে শুষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলার এই প্রতিভাবান সিনেমাটোগ্রাফার। জানেন না আর কোনওদিন এই সুযোগ আসবে কিনা!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
modhura palit

সিনেমাটোগ্রাফার মধুরা পালিত। ছবি সৌজন্যঃ মধুরা

কান চলচ্চিত্র উৎসব, সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই চর্চিত রেড কার্পেটের দুনিয়াতেই পৌঁছলেন মধুরা পালিত, কিন্তু সাজপোশাকে নয়, শিরোনাম এসেছেন তাঁর দক্ষতার জন্য। শুধু বাংলা নয়, দেশের গর্ব বলেই অভিহিত করা হচ্ছে তাঁকে। কারণ এবছর অ্যাজেনিয়াক্স বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সদ্য সিনেমাটোগ্রাফিতে স্নাতক, যাঁদের বিগত দুই বা তিন বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে থেকেই সেরাকে বেছে নেওয়া এবং তাঁকে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ দেওয়া এই পুরস্কারের লক্ষ্য। এবছর ভারতের মধুরাই এই সম্মানে সম্মানিত। এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল সেই খবর। এবার এল সেই আশ্চর্য মুহূর্ত।

Advertisment

২২ মে কান-এ প্রিমিয়ার হল তারান্তিনো-র ছবি আর ওইদিনই বাংলার মধুরা পৌঁছে গেলেন বিশ্বের দরবারে। কান-এ ভারতীয় মহিলাদের অংশগ্রহণ যে শুধুমাত্র রেড কার্পেটে আবদ্ধ নয়, দক্ষতা ও কাজ দিয়েও যে তাঁরা উজ্জ্বল করতে পারেন দেশের মুখ, নন্দিতা দাস, শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিলদের সেই তালিকায় যুক্ত হল মধুরার নামও।

আরও পড়ুন, বাংলা ছবির গর্ব মধুরা, এবার পাড়ি ‘কান’-এ              

সারা বিশ্বের নিরিখেই বেছে নেওয়া হয়েছে মধুরাকে। মঙ্গলবারই কান পৌঁছেছেন মধুরা। মাস কয়েক আগে প্রথমটায় বিশ্বাস করতে পারেননি তিনিই নির্বাচিত। পরে ইন্ডিয়ান উইমেন সিনেমাটোগ্রাফারস কালেক্টিভের থেকে ফোন পেয়ে ভুল ভেঙেছিল। কান চলচ্চিত্র উৎসবে পা রাখার অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হলে মধুরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ''কান আমার কাছে রূপকথার মতো। স্বপ্ন দেখেছিলাম একদিন ঠিক এখানে পৌঁছব কিন্তু সেটা যে এত দ্রুত সত্যি হয়ে যাবে, কল্পনা করিনি। আশ্চর্য লাগে, এখনও ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না। মায়ার দুনিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছি।''

ডিরেক্টর অফ ফোটোগ্রাফি ব্রুনো ডেলবনেল-এর সঙ্গে দেখা করবেন। কতটা উচ্ছ্বসিত? ''ফিল্ম স্কুলে পড়ার সময় ওঁর অ্যামেলি ছবিটা দেখি। তখন থেকেই ওঁর সিনেমাটোগ্রাফি আমাকে উদ্বুদ্ধ করত। আজকে ওঁর সঙ্গে দেখা হবে। যাঁদের কাজ দেখে নিজের কাজ ভাল করার চেষ্টা করেছি তাঁদের সামনে পাওয়ার অভিজ্ঞতাটা রোমাঞ্চকর। অনেক কিছু শিখব বলে আশা করছি। ফ্যান গার্ল মুহূর্তও বলতে পারেন।"

আরও পড়ুন, বছর ২৫ পরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে তারান্তিনো

কান-এর সম্পূর্ণ ফেস্টিভ্যালটাই মধুরার কাছে চমকপ্রদ। উৎসবের আমেজকে শুষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলার এই প্রতিভাবান সিনেমাটোগ্রাফার। জানেন না আর কোনওদিন এই সুযোগ আসবে কি না! তাই কোনও রস আস্বাদন থেকেই বঞ্চিত থাকতে চান না মধুরা।

Cannes Film Festival bengali films
Advertisment