চেনা-অচেনা অগুনতি মানুষের শুভকামনাই সারিয়ে তুলেছে ইরফানকে। এমনটাই মনে করেন অভিনেতা ইরফান খানের স্ত্রী সুতপা সিকদার। গত বছর মার্চ মাসে প্রথম নিজের অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন ইরফান খান। শরীরে বাসা বেঁধেছিল নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমর, যা দুরারোগ্য। খবরটি পাওয়ার পর থেকেই ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে গোটা বলিউড, গোটা দেশ জুড়েই শুরু হয় প্রার্থনা। গত ৫ এপ্রিল 'হিন্দি মিডিয়াম'-এর সিকুয়েল 'আংরেজি মিডিয়াম'-এর শুটিং শুরু করলেন ইরফান। এই প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে, স্ত্রী সুতপা সিকদার আন্তরিক ধন্যবাদ জানালেন সবাইকে।
সুতপা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে লিখেছেন একটি খোলা চিঠি। শুরুতেই লিখেছেন যে যন্ত্রণা ও আশায় ভরা এই একটি বছর সময়কাল ছিল তাঁদের জীবনের দীর্ঘতম বছর। এই একটা বছর যেন অনেকটা নির্বাসনের মতো ছিল, জীবন থেকে নির্বাসন। এক বছর পরের এই ফেরা জীবনের কাছেই ফেরা এবং সেই সময় অগুনতি মানুষের শুভেচ্ছায় আপ্লুত সুতপা মনে করেন ইরফানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি সম্ভব হয়েছে শুভকামনার জোরেই। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়পরিজন, চেনা-অচেনা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুতপা।
আরও পড়ুন: ”রঞ্জিত কাকা ও কোয়েলদির পরে আমিই তৃতীয় যে পা রাখে অভিনয়ে”: দেবজয়
সুতপা লিখেছেন, আমার কাছে এটা অবিশ্বাস্য... এর আগে কখনও এত মানুষের শুভেচ্ছাকে আমার হাড়েমজ্জায়, আমার নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে, হৃৎপিণ্ডের ওঠাপড়ায় অনুভব করিনি যা আমাকে লক্ষ্যে স্থির থাকতে সাহায্য করেছে, আমাকে এগিয়ে চলার সাহস জুগিয়েছে। সবার নাম আমি এখানে লিখতে পারছি না। কারণ সেই নামের তালিকার কোনও শেষ নেই। এমনকী আমি এও জানি না সেই তালিকায় দেবদূতের মতো কেউ আছেন কি না... আমি দুঃখিত, প্রত্যেকের শুভেচ্ছাবার্তার উত্তর আমি আলাদা করে দিতে পারছি না কিন্তু আমি জানি আপনারা আমাদের কাছে কতখানি।
আরও পড়ুন: ‘তরীর’ পর ছোটপর্দায় কার ভূমিকায় তৃণা?
ইরফানের সঙ্গে সুতপার আলাপ ছাত্রাবস্থায় ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায়। গত বছর নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমর-টি ধরা পড়ার পরেই সুতপা ও ইরফান উন্নততর চিকিৎসার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে। অতি সম্প্রতিই চিকিৎসা শেষ করে দেশে ফিরেছেন তাঁরা এবং প্রায় অবিলম্বেই শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি মিডিয়ামের সিকুয়েলের শুটিং।