মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গান শুনতে চেয়েছিলেন গীতশ্রী। মুখ্যমন্ত্রী নিজমুখে একথা জানানোর পর থেকে বিতর্ক-ট্রোলের অন্ত নেই। নেটিজেনদের একাংশ মত্ত হয়েছেন সমালোচনায়। কিন্তু প্রকৃত সত্যিটা কী? জানা গেল গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী থেকেই।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "উনি নিজে এত ভাল গান গাইতেন। আর এদিকে আমাকে বলতেন মমতা একটা গান শোনাও না। আমি বলতাম, আপনি আমাকে বলছেন! আপনি নিজে সঙ্গীত বিশারদ। শুনতেন না, তবুও গাইতে বলতেন। তাই অনেকবার সন্ধ্যাদির আবদারে আমাকে গান শোনাতে হয়েছে।" ব্যস এই কথার পরই ট্রোল-মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মমতার গায়িকা সত্ত্বা নিয়ে। কিন্তু এত মিমের যখন ছড়াছড়ি, তখন প্রকৃত সত্যিটা খুঁজে বের করলেন অভিনেত্রী সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনস্টাগ্রামে গীতশ্রীর আত্মজীবনীর একটি পাতা শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানেই আসল সত্যিটা উঠে এল। কী লেখা রয়েছে তাতে?
নিজের আত্মজীবনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, "মমতা একবার ফোনে আমাকে 'প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে', শুনিয়ে বেশ অবাক করে দিয়েছিল। এত সুন্দর গেয়েছিল। জিজ্ঞেস করেছিলাম- তুমি গান শিখতে? এত সুন্দর গাইলে! ও লজ্জিতবাবে বলেছিল, ছোটবেলায় শিখেছিলাম। ওই একটু-আধটু গাইতে চেষ্টা করি সন্ধ্যাদি।"
<আরও পড়ুন: ছেলের মাদককাণ্ড অতীত! নয়া বিজ্ঞাপনে ‘তুফান’ তুললেন শাহরুখ, দেখুন>
শুধু তাই নয়, একবার নাকি গীতশ্রীর জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। তখনও সন্ধ্যাদেবীর মনে হয়েছিল, যেন তাঁর আরেক মেয়ে ফোন করেছে। সেইসময়ও মমতার কাছ থেকে গান শোনার আবদার রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেদিন মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে মিটিংয়ে থাকায় গান শোনাতে পারেননি। বলেছিলেন, অন্য কোনও দিন শোনাবেন।
আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক এতটাই ভাল ছিল যে, মাঝেমধ্যেই ফোনে একে-অপরের খোঁজ নিতেন। এই পোস্ট করে সুদীপার মন্তব্য, "গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর এই পৃষ্ঠাটা দেখে চমকে উঠলাম, সবার সাথে শেয়ার করতে খুব ইচ্ছে হলো। কোনো মন্তব্য করতে চাই না আমি এই ব্যাপারে, ওঁর মতো একজন বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বের লেখা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতাও আমার নেই। তবে এটুকুই বলার, আমরা না জেনে কত কিছুকে "ডাঁহা মিথ্যে, এ হতেই পারে না" ভেবে কতরকম মন্তব্যই না করি, হাসাহাসি করি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন