বাবা পরিচালনায় ছেলে অভিনয় করছেন সিনেমায়, টলিউডে এমন উদাহরণ নেহাতই নতুন নয়। এর আগেও পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত পরিচালিত ছবিতে কাজ করেছেন ছেলে বনি সেনগুপ্ত। এবার টলিপাড়ার আরেক পরিচালক পীযুষ সাহাও সেই পথেই হাঁটলেন। সমরেশ মজুমদারের রহস্য উপন্যাস 'জালবন্দী' অবলম্বনে নতুন ছবি তৈরি করতে চলেছেন পীযুষ। সেই সিনেমার সুবাদেই অভিনেতা হিসেবে টলিউডে শিকে ছিঁড়ছেন তাঁর ছেলে প্রিন্স প্রাচুর্য।
প্রিন্সের বিপরতীতে দেখা যাবে দর্শনা বণিককে। সদ্য সিনেমার ঘোষণা করেছেন পরিচালক পীযুষ। যিনি এর আগে 'কেল্লাফতে', 'বাজিমাত', 'তুলকালাম', 'বেপরোয়া', 'গ্যাঁড়াকল', 'নীল আকাশের চাঁদনি'র মতো একাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন বাঙালি সিনেদর্শককে।
সিনেমার গল্পটা কীরকম? 'জালবন্দী' অবলম্বনে হলেও পরিচালক চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন গল্প। কর্পোরেট যুগের জীবনে ওষ্ঠাগত। এক মধ্যবিত্ত ঘরের যুবকের কাহিনি। হঠাৎ বাবার মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ পৃথিবীটা পাল্টে যাওয়া, সংসারের অভাব এবং নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যে সংগ্রাম শুরু করেছিল এক প্রাইভেট ইন্সিউরেন্স কোম্পানির এজেন্ট অনীশ, কোম্পানির টার্গেট পূরণ করে চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে তাঁকে বিসর্জন দিতে হয়েছিল জীবনের মূল্যবান সময়কে। টিকে থাকার সংগ্রাম করতে গিয়ে পরিস্থিতির জালে বারবার আটকে পরতে হয় অনীশকে। জাল ছিঁড়তে গিয়ে তাহলে কি সত্যিই বদলে গেল সরল-সাদাসিধে ছেলেটা? নাকি এটা তার খোলস মাত্র? রুদ্ধশ্বাস, ভিন্ন স্বাদের রহস্য-রোমাঞ্চ ও সম্পর্কের নানান পাটিগণিতে ভরপুর এই সিনেমা।
<আরও পড়ুন: পর্নকাণ্ডে স্বামী রাজ কুন্দ্রা জেলে, বাড়িতে ‘গণপতি আরাধনা’ শিল্পা শেট্টির>
পরিচালকের কথায়, "এ শুধু জীবনবীমা কোম্পানির কর্মচারীর সাধারন জীবন নয়। বরং সাধারনের মোড়কে এক অসাধারন জীবন যুদ্ধের কাহিনি। যা আজকের সমাজের কথা বলে। দর্শকের মনকে ধাক্কা দেবে এমন গল্প।"
প্রসঙ্গত, প্রিন্স-দর্শনা ছাড়াও সিনেমার কাস্টিং তারকাখচিত। রয়েছেন পায়েল সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, দীপঙ্কর দে, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং রণজয় বিষ্ণু। মিউজিকের দায়িত্বে অমিত-ঈশান। ক্যামেরায় গোপী ভগৎ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন