সুকেশ চন্দ্রশেখর আর্থিক তছরুপ মামলায় বারবার জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি। তবে নায়িকার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনল ED। সুকেশ মামলায় নাম জড়ানোর পরই জ্যাকলিন নাকি দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সমস্ত তথ্য-প্রমাণও নষ্ট করতে চান অভিনেত্রী। শনিবার দিল্লি আদালতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে এমনটাই ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছে ED।
প্রসঙ্গত, সেপ্টম্বর মাসের ২৬ তারিখেই ২০০ কোটির আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ৫০ হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন পান জ্যাকলিন। তবে অভিনেত্রীর জামিনের বিরোধতা করে আদালতে পাল্টা আবেদন করে ইডি। শনিবার সেই মামলারই শুনানি চলছিল। সেখানেই জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনে ইডি। তাঁদের দাবি, অভিনেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে এই মামলা থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন। তথ্য-প্রমাণাদিও নষ্ট করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
অন্যদিকে, জ্যাকলিনের আইনজীবী জানান, ইডির তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও ডকুমেন্ট পাননি অভিনেত্রী। এরপরই কোর্টের তরফে ইডির কাছে নির্দেশ যায়। তবে স্বস্তিতে রয়েছেন জ্যাকলিন, কারণ অভিনেত্রীর জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত।
<আরও পড়ুন: বিয়ের নয় মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদ অর্ণব-ঈপ্সিতার! মুখ খুললেন টেলিভিশনের তারকাজুটি>
আদালতের কাছে জ্যাকলিনের জামিন নাকচ করার আবেদন জানিয়ে ইডির দাবি, সুকেশ চন্দ্রশেখর আর্থিক তছরুপ মামলার চলতি তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এখানেই অবশ্য শেষ নয়। ইডির এও দাবি করে যে,"জ্যাকলিন সেভাবে তদন্তে সাহায্য করছেন না। একমাত্র তথ্য-প্রমাণাদি সামনে রেখে জেরা করাকালীনই শুধু মুখ খুলেছেন। এই বলিউড অভিনেত্রীর খুব সাধারণ নন, বরং বিশাল পরিমাণ সম্পত্তির মালকিন তিনি।"
আগামী ১০ নভেম্বর দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে ফের মামলার শুনানি হবে। বিচারক শৈলেন্দর মালিক ইতিমধ্যেই ইডিকে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জ্যাকলিন সুকেশের কাছ থেকে কোটি টাকার উপহার পেয়েছিলেন। ইডির অভিযোগ অনুযায়ী, জেনে শুনেই চন্দ্রশেখরের সম্পত্তি, তোলাবাজির টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন অভিনেত্রী। গোড়ার দিকে জ্যাকলিনের নাম এই কাণ্ডে জড়ালেও সেইভাবে উত্তেজনা ছড়ায়নি। তবে সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বেজায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী।