/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/12/BYy8n2MT9HyBehvo9UIJ.jpg)
কী করেছিলেন জয়া? Photograph: (ফাইল)
বলিউডের ‘শেহানশাহ’ অমিতাভ বচ্চন, যিনি জঞ্জির, দিওয়ার ও ত্রিশূল-এর মতো ছবির মাধ্যমে 'অ্যাংরি ইয়ং ম্যান' যুগের জন্ম দিয়েছিলেন, ভোজপুরি সিনেমাতেও কাজ করেছেন। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া গঙ্গাদেবী ছবিতে তিনি স্ত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করেন। ছবির প্রধান ভূমিকায় ছিলেন ভোজপুরি সুপারস্টার দীনেশ লাল যাদব ওরফে নিরাহুয়া।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিরাহুয়া জানান, কিংবদন্তি দম্পতির সঙ্গে কাজ করা তাঁর জীবনের বড় প্রাপ্তি। তিনি বলেন, "যখন শুনলাম তাঁদের সঙ্গে কাজ করব, তখন ভয়ে একেবারে স্থির হয়ে গিয়েছিলাম। তবে অমিতাভজি খুবই উষ্ণ ও রসিক মানুষ। তিনি আমার নার্ভাসনেস বুঝতে পেরেছিলেন এবং কৌতুক করে চারপাশের পরিবেশ কেমন যেন হালকা করে দিলেন। এমনকি একবার মজা করে বলেছিলেন-‘রাজনীতিতে যেও না, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল!’
তবে জয়া বচ্চনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। নিরাহুয়ার কথায়, "একটি দৃশ্যে, তাঁকে আমার অনস্ক্রিন স্ত্রীকে চড় মারতে হতো, আর জয়াজিকে আমার মায়ের ভূমিকায় আমাকে বকাঝকা করে লাঠি দিয়ে মারতে হতো। ভান করার বদলে তিনি সত্যিই আমাকে মেরে দিয়েছিলেন। তাও বেশ জোরে! আমি তাঁকে বললাম, ‘আপনি তো সত্যিই মারছেন!’ জয়াজি উত্তর দিলেন- ‘তাহলে তুমি আমার পুত্রবধূকে মারলে কেন?’
নিরাহুয়া হাসতে হাসতে যোগ করেন, "সম্ভবত সেটা দুর্ঘটনা ছিল, তবে আমি আসলেই ব্যথা পেয়েছিলাম। তবুও আমি সেটিকে আশীর্বাদ হিসেবেই নিয়েছি। জয়া বচ্চন ও অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ কতজন পান?"
গঙ্গাদেবী নির্মাণ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চনের দীর্ঘদিনের মেকআপ ম্যান দীপক সাওয়ান্ত, যিনি ২০০৬ সালে তাঁর আরেকটি ভোজপুরি ছবি গঙ্গা নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল অমিতাভ ও জয়ার একসঙ্গে দ্বিতীয় ছবি, কভি খুশি কভি গম (২০০১)-এর পর।
নিজের ব্লগে বিগ বি একসময় লিখেছিলেন, "আগামীকাল দীপকের ভোজপুরি ছবির শুটিংয়ে জয়া আর আমি একসঙ্গে থাকব। দীপক ৩৫ বছর ধরে আমার সঙ্গে আছেন, কখনও সেটে অনুপস্থিত থাকেননি। আমার মেকআপম্যান এতদিন আমার মুখের যত্ন নিয়েছেন, তাই তাঁর ছবিতে কাজ করাটা আমার ন্যূনতম কর্তব্য।"