/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/24/salman1-2025-09-24-17-01-08.jpg)
নজরে ছিলেন কারা?
কেরালার শুল্ক ও কেন্দ্রীয় আবগারি বিভাগ, মঙ্গলবার অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন ও দুলকার সালমানের বাড়ির অন্দরে তল্লাশি চালায়। ভুটান থেকে প্রাক-মালিকানাধীন দামি এসইউভি, চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতে আনা হয়েছে এবং কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র জগতের পেশাদারদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়ার পর, এই অভিযান চালানো হয়। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাড়িগুলির মালিকরা সচেতনভাবে এই চক্রের অংশ ছিলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তদন্ত এখনো চলছে।
দু’জন অভিনেতাই মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বড় মোটরহেড হিসেবে পরিচিত। পৃথ্বীরাজ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- “দুলকার একজন গাড়ি সংগ্রাহক, তার প্রায় ৫০–৬০টি গাড়ি আছে। তিনি গাড়ি সংগ্রহ করতে আনন্দ পান, আমি আনন্দ পাই চালানোর মধ্যে।” তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে দুলকারের সংগ্রহ এত সমৃদ্ধ যে সেটি নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানানো উচিত।
২০২২ সালে দুলকার নিজেই তার কয়েকটি গাড়ির ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তার সংগ্রহে রয়েছে ২০০২ বিএমডব্লু এম৩ ই৪৬, ২০১১ মার্সিডিজ-বেঞ্জ এসএলএস এএমজি (দাম ২.৫৪ কোটি টাকা থেকে শুরু), পোর্শে ৯১১ জিটি৩, ফেরারি ২৯৬ জিটিবি (প্রায় ৫.৮৮ কোটি টাকা), পোর্শে পানামেরা, মার্সিডিজ-মেবাখ জিএলএস ৬০০, রেঞ্জ রোভার, ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার, মিনি কুপার এস, মাজদা এমএক্স-৫ এবং আরও বহু হাই-এন্ড গাড়ি।
অপারেশন নুমখোর-এর অংশ হিসেবে প্রায় ৩০টি স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৩৬টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পিটিআই সুত্রে খবর। তদন্তে উঠে এসেছে, অধিকাংশ উচ্চ-আয়সম্পন্ন ক্রেতারা, হয় জেনেশুনে নয়তো অজান্তে এই গাড়ি কিনেছিলেন। যদিও পৃথ্বীরাজের কোনও গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়নি, দুলকার সালমানের দুটি গাড়ি সনাক্ত করা হয়েছে।