থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব, তারপরও খুনের হুমকি দিচ্ছেন এক অভিযুক্ত, তাও আবার এত সাবলীলভাবে? সমস্ত ঘটনায় মাথায় হাত দুই তারকা দম্পতির। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নবনীতা দাস। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে।
গতকাল সারাদিন থানায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি জিতু কমল এবং নবনীতা দাস। সকাল থেকেই ভাল নেই অভিনেত্রীর শরীর। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে জিতুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "নবনীতাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমি এখনও বুঝতে পারছি না বিষয়টা এদিকে গড়াল কেন। পুলিশের সামনে সবকিছু ঘটল, হিসেব মত আমাদের তো FIR করার কথাই নয়। তারই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল কিন্তু, তিনি কিছুই করলেন না"।
আরও পড়ুন < খুনের হুমকি-রেপ থ্রেট! পুলিশকে দুষে মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে ভিডিও পোস্ট নবনীতার >
এককথায়, পুলিশ প্রশাসনের ওপর রেগে আগুন তিনি। থানার এএসআই পরশুরাম বাবুর প্রসঙ্গ আসতেই বললেন, "উনাকে নিরব দর্শক বললেও কম বলা হবে। কারণ, যারা মেইন কালপ্রিট তাদেরকে উনি বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাহলে উনিই যদি এই কাজ করেন আর কি বলার আছে। এখানেই তিনি থেমে যাননি। বললেন, গাড়ির সব ছবি তোলা হয়েছে। শুনছি আমাদেরকেও নাকি কেস দেওয়া হবে। এখন কোনদিকে কীভাবে কেস দেওয়া হয় সেটার জন্য বসে আছি"।
গতকাল ঘটনা বাড়াবাড়ি হতেই সহকারী পুলিশ কমিশনারের তরফে একটি প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। যেখানে তিনি বলেন, "নবনীতার অভিযোগপত্র পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। নিমতা থানার কর্তব্যরত ASI পরশুরাম বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে বিচার তদন্ত শুরু হবে"। যদিও এই প্রসঙ্গে জিতুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও উত্তর দিতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বললেন...
আরও পড়ুন < থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নবনীতাকে ধর্ষণের হুমকি, প্রশাসনের দুর্ব্যবহারে রেগে আগুন জিতু >
"SEP সাহেব বেশ ভাল করেই কথা বলেছেন। এলেন, কিন্তু ক্ষমা কেন চাইলেন এটা বুঝলাম না। প্রথমে তো বেশ সুন্দর সবকিছু সামলে নিলেন তবে পরে শুনলাম, উনি নাকি বলেছেন আমরা অভিযোগ করেছি FIR নেওয়া হয়নি। আগেই নাকি নিয়ে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ। যদি এটাই হয়ে থাকে তাহলে, আমি কেন রাত ৮:৩০ অবধি দাঁড়িয়ে থাকব। ওখানে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই, এতক্ষণ কি করব? আমাদের কি কাজ নেই? অনেকেই তো ওখানে ছিল তাঁরা তো দেখেছে কে কি বলেছে। আমি চেষ্টা করছিলাম সমস্ত বিষয়টা শান্ত থেকে হ্যান্ডেল করতে কিন্তু না। পরশুরাম বাবু এমন কিছু করলেন"।
গতকাল থেকেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেই থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন জিতু নবনীতা। অশালীন আচরণ করেছেন অভিযুক্ত সেই ড্রাইভার, রেপ থ্রেট দিয়েছেন। তাঁদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। আজ সকাল হতেই নবনীতা এই পোস্ট ট্যাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে আজ সকাল থেকে আর হাসপাতালে যাননি জিতু। বললেন, "আর গিয়ে কি হবে? আর তো লাভ নেই। কাল বাড়ি এসেও শান্তি নেই"।