জিতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়, দুজনের মধ্যে যে কী নিয়ে আসলে গন্ডগোল চলছে, সেটা ধরতে পারা সম্ভব না। টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাবে অভিনেত্রী নাকি জিতুর ওপর বেজায় চটেছেন। এবং তিনি নাকি জিতুর কিছু আচরণ একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। সেকারণেই, তাঁকে গতকাল রাতে ভয়ঙ্কর সব মন্তব্য করতে দেখা যায় জিতুর বিরুদ্ধে। অভিনেত্রী জিতুর থেকে অনেকটাই ছোট। এবং, সেকারণেই সহ অভিনেতা যে তাঁকে স্নেহ করেন, শ্রদ্ধা করেন, এমনটাই জানান। কিন্তু গতকাল রাতে যে অভিযোগ করেছিলেন পর্দার রাসমণি, তাতে জিতুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
সমস্যার শুরু হয় যখন জিতু, তাঁদের সিরিয়ালের একটি দৃশ্য থেকেই ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করেন। যদিও পরবর্তীতে সেটি ডিলিট করেন জিতু। নিজের লাইভ এসেও জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রী তাঁর থেকে এতটাই ছোট যে তাঁকে খারাপ কথা বলা তো দূর, তাঁকে নিয়ে খারাপ কথা শুনতে পারেন না তিনি। বরং তাঁর গুণগ্রাহী জিতু, তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। তবে গতকাল অভিনেত্রী বলেন..
"প্রথম এক মাসের পর থেকে আমার খুব একটা আমার সাথে কথা বলেননি। শুধু হোয়াটসঅ্যাপে উনি যোগাযোগ রাখেন। আমি তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করলেই বলেন তোমার মাকে ভয় পাই কিন্তু তোমাকে খুব সম্মান করি। উনি আমাকে এতটাই স্নেহ এবং সম্মান করেন, যে একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন 'ওই ইভেন্টে যাচ্ছ?' আমি বলি, না আমার ডাক্তারের কাছে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আছে। তিনি জানতে চান, 'কেন, তুমি কি প্রেগন্যান্ট?' আরেকটি ঘটনা শেয়ার করি, এআই দিয়ে বানানো একটি ছবিতে দেখা যায় যে আমরা দুজন দুজনকে চুম্বন করছি। মধ্যরাতে সেই ছবি উনি আমাকে পাঠিয়ে বলেন, 'এই ছবিটা বয়ফ্রেন্ড কে পাঠাও, এক রাতের মধ্যে ব্রেকআপ হয়ে যাবে।' একদিন আমাকে বলেন তোমার সাথে আমার কথা আছে, তোমার মা যেন জানতে না পারেন, কাকিমা কে আমি ভয় পাই।" বেশ কিছুক্ষণ চুপ ছিলেন জিতু। কিন্তু, অভিনেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যের পর লাগাতার আক্রমণ যেন আর মেনে নিতে পারলেন না। তিনি সাফ সাফ জানালেন বেশ কিছু বিষয়ে।
সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করলেন বেশ কিছু স্ক্রিনশট। দিতির আনা অভিযোগ যে আসল ঘটনার সঙ্গে যুক্তিযুক্ত না, তেমনটাই প্রমাণ করলেন অভিনেতা। যে কথপোকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল করেছেন তিনি, সেখানে এটুকু বোঝা যাচ্ছে, জিতুর সমস্ত কথা বেশ মজার ছলে নিতেন তিনি। এমনকি, AI দিয়ে বানানো যে চুম্বন দৃশ্য এবং রাতের বেলা সেই ছবি তাঁকে পাঠানোর অস্বস্তিকর অভিযোগ করেন, সেটিও বেশ হালকা চালে নিয়েছিলেন তিনি। জিতু এসমস্ত স্ক্রিনশট ভাইরাল করে বললেন...
"নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমি কখনোই সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনরকম মতামত দিই না। কিন্তু এটা তো নিছক ব্যক্তিগত নয়। এটা পেশাগত একটা ছোট্ট থেকে ছোট্টতর সমস্যা। ছোট্ট থেকে ছোট্টতর কেন বললাম! কারণ একটা ছোট্ট মেয়ে,বাচ্চা মেয়ে। যে কাজটা করে ফেলেছে,সে নিজেও হয়তো জানেনা যা করেছে সেটা কতটা গভীর।"
আরও পড়ুন -মধ্যরাতে দিতিপ্রিয়াকে আপত্তিকর ছবি, সহ-অভিনেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পর্দার রাসমণির
”রাখাল যেদিন সত্যি মানুষখেকো বাঘের মুখে পড়বে সেদিন কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না।” তবুও ছোট তো একটু স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে মার্জনা করবেন। আমি সামনাসামনি কথা বলি না। সত্য কথা। আমি স্টুডিওতে গিয়ে নিজের কাজ ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে চর্চা করি না। সত্য কথা। আমি হোয়াটসঅ্যাপে ওর সঙ্গে কথা বলি সত্য কথা।"
তবে দিতির কথাও মাথায় রাখলেন তিনি। আরও বললেন, "কিন্তু,কী কথা বলি সেটাই নিয়েই তো প্রশ্ন! এই নিন। নিজের বাবা-মার সম্মানার্থে আমি সবার সামনে আনতে বাধ্য হলাম। আমি সবটা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম, যদি বলেন ভুল,সরাসরি বলবেন আমি নিজেকে পাল্টে নেবো। বে বাচ্চা মেয়েটির ফোন নাম্বারটা ঝাপসা করলাম। হাজারও হোক মেয়েটি বিপদে পড়তে পারে,তার ফোনটা অফ করে দিতে হতে পারে, সেটা সিনিয়র হিসেবে দেখাটা আমারই কর্তব্য।"
সর্বশেষে বলি,”ভিকটিম কার্ড” খেলাটা আমাদের সমাজে প্রথম নয়। অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু এই মেয়েটির কোন দোষ নেই, এই মেয়েটি নিরপরাধ। এই মেয়েটিকে পেছন থেকে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। যারা দিচ্ছে তারা কিন্তু এই মেয়েটির বিপদের সময় পাশে দাঁড়াবে না। প্লিজ মেয়েটিকে মেয়েটির পথে থাকতে দিন। কাজ করতে দিন। মেয়েটি ভালো। শিক্ষিত মেয়ে। হ্যাঁ,একটু অপরিণত,আর নিজের প্রেমিকের জন্য জীবনটুকু পর্যন্ত দিতে পারে। আর প্রেমিক মহাশয়কে বলছি এনাকে যত্ন করে রাখবেন প্লিজ হাতছাড়া করবেন না,আপনি রত্ন পেয়েছেন।"