Jeetu Kamal: ছোট পর্দায় কামব্যাক করছেন 'রানিমা' দিতিপ্রিয়া রায়। সৌজন্যে 'তোমাকে ভালবেসে'। মুক্তি পেয়েছে সিরিয়ালের প্রোমোও। ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুষো দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে অভিনয় করতে নাকি নায়কের লম্বা লাইন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। এর মাঝেই টেলিপাড়ার অন্দরের গুঞ্জন, দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে দেখা যাবে নান আদার দ্যান বড় পর্দার সত্যজিৎ রায় ওরফে জীতু কমলকে। এই খবর চাউর হতেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় জীতুর সঙ্গে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে নায়ক হচ্ছেন? বড় পর্দায় সফল্যের পর আবার ছোট পর্দায় ফিরলেন...।
জীতুর উত্তর, 'আমি তো নিজেই এখনও সেইরকম কিছু জানি না। আপাতত কোনও খবর নেই। আমি সিরিয়ালের লিড আর আমিই জানি না! আমার কাছে যতক্ষণ না অফিসিয়ালি কনফার্মেশন আসছে ততক্ষণ কিছুই বলতে পারব না।' ছোট পর্দায় কামব্যাক নিয়ে প্রশ্নের সাফ জবাব, 'আমার কাছে পর্দা কোনও ব্যাপার নয়। আমি সব মিথ ভাঙতে চাই। এই বছর আমার তিনটি ছবি রিলিজ করছে। আমার আর শ্রাবন্তীর 'রমকম' রিলিজ করছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমের দিনে প্রেমের ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এটা নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। ইন্দ্রদীপ দশগুপ্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ছবিও আছে। আমার কাছে চরিত্র, কাজের পরিবেশ এই জিনিসগুলোই বরাবর গুরুত্ব পায়। যা আমাকে কাজ করে তৃপ্তি দেয়। থিয়েটার, সিরিয়াল সিনেমার যাই হোক না কেন। ছোট পর্দা, মেজ পর্দা বড় পর্দা কোনওটাই ম্যাটার করে না।'
যদি কখনও সিরিয়ালে কামব্যাকের সময়ই সিনেমার দারুণ কোনও অফার আসে? ফোনের ওপারে খানিক হেসে জীতুর উত্তর, 'খুব ডিপ্লোম্যাটিক প্রশ্ন। আমি তো একজন অভিনেতা। তাই আমার কাছে সিনেমা, সিরিয়াল, থিয়েটার কোনওটাই আলাদা নয়। যখন আমি ছোট পর্দায় কাজ করতাম তখন ভাবতাম বড় পর্দার মতোই কাজ করছি। আবার যখন বড় পর্দায় কাজ করছি তখন মনে করি ছোট পর্দার হিসেবেই কাজ করছি। আমি তো পর্দা বিচার করে কাজ করি না। কাজটাকে কাজের মতো করে দেখি। আমি শুধু ডিরেক্টরের অ্যাকশন-কাট শুনতে পাই। এর বাইরে আর কিছু শুনতে পাই না। আমাকে যে কাজ আনন্দ দেবে সেটাই আমি করব। আমি কাজ পাগল (workaholic)।'
ক্রিসমাসে চারটি বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছে। কারও মতে এটা হেলদি প্রতিযোগীতা তো কেউ আবার বলছে অর্ন্তদ্বন্দ্ব। একজন অভিনেতা হিসেবে জীতু কমলের কী মত? সোজাসাপটা জবাব, 'ছবির ভাল-খারাপ আমার কাছে সম্পর্কের মাপকাঠিতে বিচার হয় না। যেটা আমার ভাল লাগবে সেটাকে ভাল বলব। খাদান আমার ভাল লেগেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও লিখেছি। যখন জিৎদার ছবি ভাল লাগে তখনও সেটা লিখি। আবার রাজ চক্রবর্তীর ছবি পছন্দ হলে সেটাও বলি। বাবলি ভাল লেগেছিল বলেছিলাম। সন্তানও ভাল ছবি। আমার মনে হয় কোনও অর্ন্তদ্বন্দ্ব থাকলে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি। তখন আমাদের ছবির মার্কেট অন্য কেউ দখল করে নেয়। অনেক সময় খারাপ ছবিও ভাল ব্যবসা করে বেরিয়ে যায়। আমাদের ভাল ছবি চাপা পড়ে যায়। একসঙ্গে চারটি ছবি মুক্তি পেল। ওঁরা যতটা আশা করেছিলেন তার থেকে কিন্তু, বেশিই প্রাপ্তি হয়েছে। আমার কাছে এটা কোনও প্রতিযোগীতা নয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চললে বাংলা ছবির উন্নতি হবে।'
চারটি বাংলা ছবির মধ্যে জীতুর সবচেয়ে ভাল লাগল কোন ছবি? অকপটে বলেন, 'আমার কাছে এক নম্বরে খাদান। দ্বিতীয় চালচিত্র, তৃতীয় সন্তান আর চতুর্থ মানসীর ছবি।' ছবির দুনিয়া নিয়ে কথা বলার সময় একটি বিষয় উল্লেখ করেন জীতু। তাঁর মতে, 'অনেক প্রোডিউসরের এগিয়ে আসা উচিত। তবে ঠকানোর প্রবণতা কমানো দরকার। অনেক অ্যাক্ট আছে যাংরা ঠকে যান। একরকম স্ক্রিপ্ট বলে সই করানোর পর সেটে গিয়ে বিষয়টা বদলে যায়। অনিশ্চিত জায়গাটা থেকে বেরিয়ে বাংলা ছবি এগিয়ে যাক এটাই চাওয়া।'