/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/29/jishu-2025-09-29-16-09-25.jpg)
যা বললেন যীশু...
অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত সম্প্রতি SCREEN-র ডিয়ার মি, সিজন 2-এ হাজির হয়েছেন। এক আলাপচারিতায় তিনি নিজের অভিনয় জীবনের শুরুর দিনগুলির স্মৃতিচারণা করেন। জানান, কীভাবে তাঁর পরিবার একসময় বেঁচে থাকার লড়াই করেছে এবং কীভাবে টেলিভিশন থেকে বড়পর্দায় পা রাখার সময় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ কীভাবে অভিনয়ের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে শেয়ার করেন ২০০৭ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষের দ্য লাস্ট লিয়ার ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ও কাজের অভিজ্ঞতা।
যিশুর কথায়, "আমরা তখন দ্য লাস্ট লিয়ার–এর শুটিং করছিলাম। প্রথমদিকে মিস্টার বচ্চন শুধু আমাকে দূর থেকে দেখতেন, চিনতেন না। কয়েক দিন পরে আমরা মুখোমুখি হই। ঋতুদা আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং সেদিনই আমাদের একসঙ্গে তিন পাতার একটি বড় দৃশ্য শ্যুট করতে হয়। আমি একজন সাংবাদিকের চরিত্রে, আর উনি ছিলেন একজন প্রতিবন্ধী থিয়েটার অভিনেতা। আশ্চর্যজনকভাবে, উনি খুব সাবলীল বাংলায় কথা বলতেন, কারণ কর্মজীবনের শুরুতে কলকাতায় কয়েক বছর ছিলেন।"
প্রথম দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে যিশু বলেন, "আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। লাইন মুখস্থ করে কোনওমতে দ্রুত বলে যাচ্ছিলাম। ঋতুদা আমাকে বকছিলেন রীতিমতো। তখন মিস্টার বচ্চন থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তুমি এই ছেলেটাকে বকছ কেন? সে কি অস্বীকার করতে পারে আমি অমিতাভ বচ্চন?’ সত্যি বলতে তখন মনে হয়েছিল অভিনয় ছেড়ে দেব। কিন্তু উনি এতটাই মিষ্টি মানুষ যে আমার সঙ্গে প্রায় ৩০ বার রিহার্সাল করলেন এবং আমাকে স্বস্তি দিলেন।"
পরে যিশু তাঁকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে, অমিতাভ বলেন, "দেখো, এটা আমার জঁরার ছবি নয়। তবে দর্শক যখন হলে আসবে, তারা চাইবে আমরা দুজনেই ভাল অভিনয় করি। আমি যদি ভালো করি আর তুমি না করো, তবে দৃশ্য দাঁড়াবে না, আর ছবিটাও ভেস্তে যাবে। তাই এটা আমার দায়িত্বও যে তুমি যেন ভাল করো।"
যিশু স্বীকার করেন, "এই অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিখেছি কেন উনি অমিতাভ বচ্চন। কারণ ফ্রেমে না থেকেও তিনি সহ-অভিনেতাদের সঠিক সংকেত দিয়ে সাহায্য করেন।" ওয়ার্কফ্রন্টে, যিশুকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল দ্য ট্রায়াল সিজন 2–এ। অন্যদিকে, অমিতাভ বচ্চন বর্তমানে সঞ্চালনা করছেন কৌন বনেগা ক্রোড়পতি সিজন ১৭।