Joy-Alivia Wedding To Honeymoon: টলিপাড়ায় এখন যেন বিয়ের মরশুম। শীতের আমেজে স্টুডিও পাড়ায় বাজছে বিয়ের সানাইয়ের সুর। রুবেল-শ্বেতা থেকে মল্লিকা-রুদ্রজিৎ-এর পর এবার ছাদনাতলায় 'জিওনকাঠি' খ্যাত অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিয়ের খবর ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি কেউ। একপ্রকার চুপিসারেই শনিবার গোধুলি লগ্নে সাত পাকের বন্ধনে বাঁধা পড়েছেন জয়। তিনি পেশায় একজন অভিনেতা হলেও পাত্রী রূপোলি দুনিয়ার কেউ নন। তিনি জেলা আদালতের বিচারক অলিভিয়া ভট্টাচার্য।
বর্তমানে তিনি মেদিনীপুরে কর্মরত। বারাসতের এক ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল জয়-অলিভিয়ার বিয়ের আসর। লাল টুকটুকে বেনারসি, সোনার গয়নায় সুসজ্জিত নববধূ। স্ত্রীর বেনারসির সঙ্গেই রংমিলান্তি চিকনকারি ধুতি-পাঞ্জাবিতে বরবেশে জয় মুখোপাধ্যায়। বিয়ের ছবি শেয়ার করতেই শুভেচ্ছায় ভাসছেন নবদম্পতি।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন জয়। ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ হয়েও বিয়ে নিয়ে কেন এত রাখঢাক? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে জানতে চাওয়া হয় জয়ের কাছে। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, 'মায়ের পছন্দের মেয়েকেই জীবনসঙ্গী বানিয়েছি। আমাদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। আমি চেয়েছিলাম বিয়ের পর সবাইকে সবটা জানাতে। এছাড়া অন্য কোনও কারন নেই। খুব শীঘ্রই আমি ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের জন্য একটা গ্র্যান্ড পার্টি থ্রো করব।' ইন্ডাস্ট্রির একজন সুদর্শন অভিনেতা হয়েও দেখাশোনা করে বিয়ে...। প্রশ্ন শুনে তো হেসে খুন জয়।
তিনি বলেন, 'আমার মা আর ওঁর মা দুজন বন্ধু। সেই সূত্রেই এই বিয়েটা ঠিক হয়। আমরা একে অপরকে একবছর ধরে চিনি। কথাবার্তা হত। প্রথম থেকে তো নিজেরা কাউকে পছন্দ করিনি। তাই এটা অবশ্যই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ।' দুজনে ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। তার মাঝে কী ভাবে একে অপরের সঙ্গে কোয়ালিটি মোমেন্ট কাটাবেন?
অভিনেতা জয়ের জবাব, 'হ্যাঁ, এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। ওঁর পেশাটা অনেক বেশি ফর্মাল। আর আমাদের যখন শ্যুটিং থাকে না তখন মোটামুটি ফ্রি। এখন যেমন আবার সিসিএল-র জন্য প্র্যাকটিস করছি। এতদিন যখন আমরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতাম শনি আর রবিবারটা একসঙ্গে কাটাতাম। এখন তো বিয়ে হয়েই গেল।'
বিয়েটা চুপিসারে, হানিমুনও চুপিচুপি? জয় বলেন, 'আমরা কো-সামুই যাওয়ার একটা প্ল্যান করছি। আসলে সিসিএল-টা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি হয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম সিসিএল-র পরেই যাব। কিন্তু, দিনটা যখন পিছল তখন ভাবছি আগেই ঘুরে আসব। যদি কোনও কারনে না হয় তাহলে মলদ্বীপ বা লাক্ষাদ্বীপ চলে যাব।'Joy Mukherjee