নয়ের দশকের ছেলেমেয়েরা যাঁরা মূলত ক্যাসেট সিডিতে গান শুনেই অভ্যস্ত। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে গান শোনার ধরনও। আজকের প্রজন্ম মজে ইউটিউব, স্পটিফাইয়ে। যে কোনও মনপসন্দ গান শোনার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে এগুলি। আর এখন তো ইউটিউব সহ অ্যাপেল মিউজিক, স্পটিফাইয়ে শোনা যাচ্ছে চন্দ্রবিন্দুর নতুন অ্যালবাম 'টালোবাসা'।
দীর্ঘ ১২ বছর পর দশম অ্যালবাম নিয়ে হাজির চন্দ্রবিন্দু। ভালবাসার গানের পর টালোবাসা নিয়ে দারুণ উত্তেজনা ছিল যারা চন্দ্রবিন্দুকে ভালবাসে বা বাংলা ব্যান্ডের গান শুনতে পছন্দ করেন। এই অ্যালবামে রয়েছে মোট ১০টি গান। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী, গ্যাঁড়াকল, বিকেল, কেরানি,বায়নাখোকা, আমার জানালা দিয়ে-র মতো গানগুলি।
এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন শিল্পী জয় সরকার। সেখানে তো রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তাও আবার কার উপর জানেন? চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য উপলের উপর। জয় নাকি তাঁর থেকে রেকর্ড চেয়েই পাচ্ছে না। শুধু নাকে দড়ি দিয়ে জয়কে ঘোরাচ্ছেন উপল! সেই নিয়েই একটা লম্বা চওড়া পোস্টে উপলকে 'হুঁশিয়ারি' দিলেন জয় সরকার।
কী ভাবছেন উপল আর জয় তো ভাল বন্ধু, হঠাৎ কী এমন হল? আসলে এটা নিছকই মজা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কী লিখেছেন জয়? তিনি লেখেন, 'উপল, তুমি কি আমাকে রেকর্ডটা দেবে? নাকি ফেসবুকে লিখব? টালোবাসা, চন্দ্রবিন্দু , আমি এইঅ্যালবামে বাজিয়েছি। উপল বলেছিল দেবে। এখন চাইলে দিচ্ছে না। নানাভাবে অপমান করছে। লাস্ট দুমাস ধরে ঘোরাচ্ছে। আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। সব কিছুর একটা সীমা আছে।'
এই পোস্ট দেখে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে উপলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখনও অবশ্য তিনি পোস্টটি দেখেননি। পরে যখন জানান হল জয় সরকার কী লিখেছেন তখন হাসি যেন তাঁর কিছুতেই থামছিল না। প্রথমেই বলেন, 'এই পোস্ট নিয়ে একদম বিচলিত হবেন না। এটা ও দুষ্টুমি করে লিখেছে। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার দুজন খুব ভাল বন্ধু। একজন জয় আর একজন সোমলতা। জয় তো আগেও একবার পোস্ট করে দিয়েছিল যে উপল সিনেমা করবে। নায়িকা চাই। ওটা লিখে বলেছিল দেখ কত ফোন আসে'।
আরও বলেন, 'আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম তখন ফোনের জ্বালায়। এবার আবার...। আসলে আমাদের যে অ্যালবামটা বেরিয়েছে সেটা তো রেকর্ড হিসেবে। অনেকদিন ধরে আমাকে বলছে দাঁড়াও তোমাকে টাইট দিচ্ছি। রোজই ফোন করে বলি রেকর্ডটা নিবি না? আমাদের মধ্যে সর্বক্ষণ খুনসুটি চলতে থাকে। আমি তো এটা তোমার থেকে শুনে অবাক। আমরা যেহেতু রেকর্ড বের করেছি ও বারবার আমাকে বলছে রেকর্ড দেবে না? আমি বলছি তোমার রেকর্ড প্লেয়ার নেই রেকর্ড নিয়ে কী করবে? তখনই বলেছিল দাঁড়াও তোমার মজা দেখাচ্ছি। ওঁর মাথায় সারাক্ষণই দুষ্টুমি করে চলে।'