5G ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে পরিবেশ। তাই আগেভাগেই দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন জুহি চাওলা (Juhi Chawla)। ৫জি পরিষেবার রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের দ্বারা প্রাণীকূল যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা রুখতেই দিল্লির উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। বুধবার ছিল সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি। আর তাতেই ঘটল মহাবিপত্তি! মামলার শুনানী চলাকালীন এক ব্যক্তি আচমকাই গেয়ে উঠলেন মামলা দায়েরকারী অভিনেত্রী জুহি চাওলার-ই সিনেমার গান। যার জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।
তবে একবার নয় একাধিকবার এমন কাণ্ড ঘটান ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন সময়ে জুহির বিভিন্ন ছবির গান গেয়ে ওঠেন তিনি। যার ফলে বারবার বিঘ্নিত হয় শুনানি প্রক্রিয়া। কখনও ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ ছবি থেকে ‘ঘুঙঘাট কি ওর সে…’ তো কখনও ‘নাজায়াজ’ ছবির ‘লাল লাল হোঁঠো পে…’। আবার কখনও ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আয়না’ ছবির ‘মেরি বান্নো কি আয়েগি বারাত…’। এদিকে ওই ব্যক্তির এমন কাণ্ড দেখে যখন হতবাক সবাই। তখন বিচারপতি তো রেগে আগুন। শেষমেশ অভিযুক্তকে ওই ভার্চুয়াল শুনানির সেশন থেকে বের করে দেওয়া হয়।
<আরও পড়ুন: চরম বিপাকে! দিশা-টাইগারের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল মুম্বই পুলিশ>
তবে এমন স্পর্ধা দেখে বিচারপতি ওই অভিযুক্তকে ছাড়বার পাত্র নন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস জারি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি পুলিশকে।
কিন্তু কীভাবে দিল্লি হাইকোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দিলেন ওই ব্যক্তি? সূত্রের খবর, এদিনের ভার্চুয়াল শুনানিতে সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লিঙ্ক পোস্ট করেছিলেন জুহি চাওলা। সেই লিঙ্কের দ্বারাই ওই ব্যক্তিও শুনানিতে যোগ দেন এবং এরপর বিপত্তি ঘটান!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন