একটা মানুষকে যদি সকালবেলা উঠেই এটা ভাবতে হয়ত আজকের দিনে দুবার করে মরতে হবে? এমনও কোনদিনও হয়? মৃত্যুর নানান স্তর নানান অধ্যায় চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু সকালবেলা উঠে তখন যখন এক কাপ চা চুমু দিতে দিতে কেউ ভাবছেন যে আজকের দিনে দুবার করে আমাকে ভিন্নভাবে মরতে হবে, তাঁর মনের মধ্যে ঠিক কী চলে?
ওয়েব সিরিজের মধ্যে স্কুইড গেম উল্লেখযোগ্য। পরপর তিনটি সিজনে, মানুষ চূড়ান্ত আনন্দ পেয়েছেন। কিন্তু অভিনেতা পার্ক সাং হুন - তিনি জানতেন, যে সেইদিন তাকে দুবার করে মরতে হবে। স্কুইড গেম ছাড়াও, তিনি আরেকটি ওয়েব সিরিজ থেকেও দারুণ জনপ্রিয়। তার নাম কুইন আফ টিয়ার্স। স্কুইড গেম এবং এই সিরিজটির একসঙ্গেই শুটিং করছিলেন তিনি। অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন সেই দিন প্রসঙ্গে যেদিন তাকে দুইবার করে মরতে হয়েছিল। এবং এটা কোন টেট আমার প্লট নয় বরং এটা নিজস্ব জীবন।
Debleena Dutta: 'আমি মানসিকভাবে তৈরি..', টালিগঞ্জের রাজনীতিতে হাতে …
অভিনেতা একবার বলেছিলেন, একই দিনে দুটি হিট সিরিজের জন্য তাকে মরে যাওয়ার শট দিতে হয়েছিল। এক জায়গায় নয়, দুটি হয়েছিল ভিন্ন দুই স্টুডিওতে। স্কুইড গেমের নাটকীয় মৃত্যু দৃশ্যটি সুট হয়েছিল ডিজিওনের একটি স্টুডিওতে। এবং কুইন আফ টিয়ারস এর জন্য তিনি ছুটে গিয়েছিলেন গ্যানওন ডোতে। ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন সেদিন অভিনেতা। দুটো মৃত্যু দুই ধরনের। ইমোশনাল ল্যাপস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তখন। অভিনেতা বলেছিলেন...
ওকে শুধু অভিনয় করলেই হতো না বরং আবেগের বসে সবকিছু করতে হতো। দুটো দৃশ্যই ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিল। এবং দুই পরিচালকই বারবার তাকে বলছিলেন যে এমন ভাবে অভিনয় করতে যাতে তার বডি কোলাপস হবার আগে পর্যন্ত চোখ দিয়ে তার টপটপ করে জল পড়ে। কিন্তু অভিনেতার এতটাই দূরদর্শী তা যে প্রথম শটে তিনি এই কামাল করে দেখিয়েছিলেন। এবং তিনি নিজেই একবার মজায় মেতেছিলেন এই দুই শো নিয়ে। অভিনেতা বলেছিলেন...
"কি অদ্ভুত ব্যাপার! আমাকে নাকি দিনে দুবার মরতে হয়েছিল। এবং কি সাংঘাতিক ট্রানজেকশন ছিল দুটো চরিত্রের মধ্যে। একটা থেকে আরেকটাতে নিজেকে পাল্টাতে আমাকে প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হয়েছিল। যদি কেউ মনে করে থাকে যে পরীক্ষা কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ সব থেকে মানসিক চাপের, তাহলে আমি বলব ডিরেক্টর একশন বললেই কান্নাকাটি, একবার প্র্যাকটিস করুন। তারপর যখন দেখবেন যে আপনি হট করে মরে যাচ্ছেন, এবং সেটের প্রত্যেকটা লোক আপনাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে, তখন বুঝবেন।"