বেলাশেষের পর বেলাশুরুর পর্ব। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের পরিচালনায় আসতে চলেছে এই ছবি একথা এতদিনে প্রত্যেকের জানা। তবে চমক এটা নয়। বেলাশুরু ছবিতে অনিন্দ্যর সুর ও লেখায় গান গেয়েছেন কবীর সুমন। এরআগে অনিন্দ্যর পরিচালনায় একটা বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে প্রথমবার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সুরে গান গাইলেন সুমন। বেলাশুরুর টাইটেল ট্র্যাকে পাওয়া যাবে সুমনকে।
এ বিষয়ে অনিন্দ্য বললেন, ''এটা নস্টালজিক, এটা আমার জীবনের স্মরণীয় রেকর্ডিং। আমার কম্পোজিশন ও লেখায় উনি গাইলেন এটা বড় ব্যাপার। আমরা তো ওনারই গান শুনে বড় হয়েছি। সংস্কৃতি জগতের সবথেকে সেরা আশ্চর্যটাই উনি''। তবে গানটা লেখার সময় থেকেই অনিন্দ্য ভাবেননি যে সুমনকে দিয়ে গাওয়াবেন। গানটা কম্পোজ করার পর মনে হয়েছে একথা, জানালেন সুরকার নিজেই। গানটা তৈরির পর যখন স্ক্র্যাচ গাইছি তখনই এই পরিচালকের মনে হয়েছিল গানটা যদি কবীর সুমন গান। সে স্বপ্নই সত্যি হল শেষমেষ।
আরও পড়ুন, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি, খোয়াইয়ে ‘বেলাশুরু’
তবে কবীর সুমনকে জিজ্ঞেস করায় তিনি আবেগঘন হয়ে বললেন, ''প্রথমত আমি ভীষণ স্পর্শকাতর মানুষ। আমায় কেউ গান গাইতে ডাকে না। আমি এককোণায় আনন্দে আছি। অবাক হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনিন্দ্যর বোধহয় সমস্যা রয়েছে নইলে আমায় বলছে গান গওয়ার কথা! শুনে আমার খুব ভাল লেগেছিল। প্রবুদ্ধ ও অনিন্দ্যর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে কাজটা করলাম। আমার ধারণ গানটা যদি এখন বেরোতে মানুষ হইহই করে শুনতেন''।
আধুনিক বাংলা গান অনেকদিন পর অনিন্দ্য উপহার দিচ্ছেন বলেই মনে করেন সুমন। অনিন্দ্য চট্টেপাধ্যায়ের কথায় ও সুরে গানটিতে যন্ত্রনুসঙ্গ করেছেন প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলাশুরু মুক্তি পাওয়ার কথা ২০১৯ এর পুজোয়। তার আগেই প্রকাশ্যে আসবে এই গান। এতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে অবশ্য একটু মন খারাপ সুমনের।