আপনি ঠিকমতো খেতে, ঘুমতে পারছেন কিনা খেয়াল রাখে। অথচ তাঁর ছেলে কিংবা মেয়ে কাজের প্রয়োজনে বাইরে। সেই সমস্ত কাজল মাসি-দের কথা সিনেমার পর্দায় তুলে আনলেন পরিচালক নন্দিতা রায়।
বিশ্বজোড়া আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি প্রত্যেকে। কেউ বা বাড়ি ফিরতে পেরেছে। কারও আবার ঠাঁই হয়েছে কাজের জায়গার পাশেই ছোট্ট ঘরটাতে। হাজার হাজার পরিযায়ী মানুষগুলো পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে। তবে সবাই পারেনি।
Advertisment
লকডাউনে আমি আপনি বাড়িতে বসে আছি প্রায় নিশ্চিন্তে। কিন্তু যে মানুষগুলো আমাদেরই বাড়িতে থাকেন, সাহায্য করেন কাজে। আপনি ঠিকমতো খেতে, ঘুমতে পারছেন কিনা খেয়াল রাখে। অথচ তাঁর ছেলে কিংবা মেয়ে কাজের প্রয়োজনে বাইরে। সেই সমস্ত কাজল মাসি-দের কথা সিনেমার পর্দায় তুলে আনলেন পরিচালক নন্দিতা রায়।
শত শত পরিযায়ী শ্রমিকদের মায়ের গল্পগুলো অজানা গহ্বর থেকে আগলে সাজিয়ে দিলেন চিত্রনাট্যের আকারে। সেখান থেকেই তৈরি হল লকডাউন শর্টসের পরবর্তী ছবি কাজল মাসি। মুখ্য চরিত্রে খেয়ালি ঘোষ দস্তিদার এবং আদিত্য। এছাড়াও রয়েছেন গৌরী মুখোপাধ্যায় এবং দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়।
কাজল মাসি-র কষ্টকে সামলে নিতে কখন যেন এগিয়ে আসে দুটো হাত। সমস্যা না মিটলেও কিছুটা লাঘব হওয়ার আশা দেখা যায়। সু্ন্দর গল্প এক্কেবারে আড়ম্বরহীনভাবে বললেন নন্দিতা রায়। আদিত্য প্রথম ডেবিউ ছিল উইন্ডোজ-এর সঙ্গে, এবার মায়ের সঙ্গে স্ক্রিনে দেখা গেল তাঁকে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই শুট হয়েছে এই ছবির। করোনাভাইরাসের জেরে সিনেমা হল বন্ধ করার নির্দেশ দেয় সরকার। তখন যে চারটি বাংলা ছবি হলে চলছিল তার মধ্যে ছিল শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের প্রযোজনায় ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি। এই ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন জিনিয়া সেন। দুর্যোগের সময় কাটলে আবার ঋতাভরী অভিনীত এই ছবি মুক্তি পাবে কিনা তা তো সময়ই বলবে। তবে এই সময়ে পরিচালকদ্বয়ের এই প্রয়াসকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বিনোদন জগত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন