Kamaleshwar Mukherjee On RG Kar Issue Post : আর জি কর কাণ্ডের পর ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে আগেই। তিলোত্তমার মর্মান্তিক মৃত্যুর সঠিক বিচার পেতে আজও অপেক্ষারত ডাক্তারি পড়ুয়ার মা-বাবা। সুপ্রিম কোর্টে প্রতিটি শুনানির দিন মেয়ের সুবিচার পাওয়ার আশায় বুক বাঁধে তিলোত্তমার পরিবার। একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ট্রায়াল। যদিও সিবিআই-এর এই তদন্তে মোটেই খুশি নন তিলোত্তমার মা-বাবা। এখনও আরজি কর কাণ্ডের বিচারের আশায় সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান থেকে সহপাঠীদের লড়াই জারি। সঙ্গে রয়েছে প্রতিবাদী সমাজও। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে যাচ্ছে সেই প্রতিবাদের তীব্রতা? টলিউড পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পোস্টে এবার সেই ইঙ্গিত।
সমাজমাধ্যমের পেজে একটি অভিমানী পোস্ট শেয়ার করেছেন পরিচালক। যেখানে রয়েছে প্রতিবাদের ভাষাও। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ফেসবুকের ওয়ালে লেখেন, 'আর্থিক বিপর্যয় মানেই : আয় কম। সামাজিক বিভাজন মানেই : আস্থা কম। তাই, মদ বেচো, ম্যাসাজ বেচো, লটারি বেচো, ককটেল-পার্টি বেচো, জ্যোতিষ বেচো, রাজনৈতিক বা পরকীয়ার কেচ্ছা বেচো, ধর্ম বেচো, সাজগোজ বেচো, বিনোদন বেচো, খেলাধুলো বেচো, গ্যাজেট বেচো, খেলনা বেচো আর ভয় বেচো। আসলে পালিয়ে যাবার রাস্তা বেচো। তারপর সুযোগ পেলে নিজেকেই বেচে দাও। চোখ কান রাখলেই এগুলো দেখতে পাবেন। চোখ কান খোলা নেই। তাই তিলোত্তমার শব আর দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বাবা মা'র কান্না শুনতে পাচ্ছেন না। অনুভব করতে পারছেন না 'বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।'
সত্যিই আর কবে...? আরজি কর কাণ্ডের হাড়হিম করা ঘটনার সেই দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্টের কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠে সকলে। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও পৌঁছেছিল আরজি কর কাণ্ডের রেশ। ধর্ষণ-খুনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলছে মতানৈক্য।
সাধারণ মানুষের ভরসা উঠছে সিবিআইয়ের উপর থেকে। তিলোত্তমার সহপাঠীরা চাইছে তদন্তের গতি আরও বাড়ুক। সেই সঙ্গে সঞ্জয় রায়কে একা অভিযুক্ত ঘোষণা করার বিষয়টাো সহজে হজম হয়নি কিঞ্জল, অনিকেত, দেবাশিষদের। তাংদের লড়াই জারি। কিন্তু, সকলের মনে প্রশ্ন একটাই, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেদেই যাবে!