Kamaleswar Mukherjee Meme: যে কোনও কিছুতেই ব্য়ঙ্গাত্মক মিম বা ট্রোল ডিজিটাল পৃথিবীর একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্য়াল মিডিয়া কারও কাছে নিজেকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম, কারও কাছে তা প্রতিবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্য়াটফর্ম আবার কারও কাছে ব্যক্তিগত রাগ, ক্ষোভ, অপূর্ণতাকে চেনা-অচেনা যে কোনও ব্যক্তির উপর উগরে দেওয়ার একটি অজুহাত। সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে একটি ব্য়ঙ্গাত্মক মিম ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়, বিশেষত ফেসবুকে। ওই মিমে ব্য়ঙ্গের তির ছিল বাংলার সাম্প্রতিক সময়ের দুই পরিচালকের দিকে-- কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়। ৩ মে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এই মিম প্রসঙ্গে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন কমলেশ্বর।
মিম-এর মূল কথা ছিল এই রকম যে সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তাঁদের ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য় ঘন ঘন বিদেশের লোকেশন খোঁজেন এবং এই নিয়ে তাঁদের বেশ গর্ববোধ রয়েছে। মিম-এ দেখা যায় লেখা রয়েছে যে কমলেশ্বর বলছেন, ''দেবকে নিয়ে আফ্রিকা আর আমাজনে শ্য়ুটিং করে এলাম।'' আর সৃজিত বলছেন, ''আমিও কাকাবাবুকে সুইজারল্য়ান্ড ঘুরিয়ে দিলাম।''
আরও পড়ুন: ‘কারগিল’ নায়কের ভূমিকায় আসছেন সিদ্ধার্থ
তার ঠিক নীচেই দেখা যায় সত্যজিৎ রায়ের ছবি দিয়ে তাঁর বয়ানে লেখা রয়েছে, ''আমাকে ফেলুদাকে নিয়ে কখনও দেশের বাইরে শ্য়ুটিং করতে যেতে হয়নি... শুধু পুরস্কারগুলো আনতে বিদেশ যেতে হতো। এই মিমটি সোশ্য়াল মিডিয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্য়েই ছড়িয়ে পড়ে।'' বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতেও অনেকে শেয়ার করেন মিমটি।
অনেকে এই মিমটিকে নিছক মজার চোখে দেখেছেন আবার অনেকে নিন্দা করেছেন এই ধরনের কুরুচিকর উপহাসের। ২ মে এই মিমের প্রসঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দুজনের কেউই কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু পরের দিন ৩ মে, কমলেশ্বর তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের টাইমলাইনে পোস্ট করেন একটি ইমেজ, যে ইমেজে আসলে পূর্বতন মিমটির উপরে জুড়ে দেওয়া হয় কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায়ের বয়ানে কয়েকটি কথা-- ''কাউকে বড়ো দেখাতে কাউকে ছোটো করাটা কি আবশ্যক? সত্যজিৎ রায় আমাদের ছবি দেখার চোখ ফুটিয়েছেন। তাই অপমানিত হয়েও আমি গর্বিত-- হীনমন্যতায় ভুগছি না।''
আরও পড়ুন: জানেন, দূরদর্শনের টেলিছবিতে অভিনয় করেছিলেন মান্না দে?
এর পরে তাঁর প্রোফাইলে এই পোস্টটিতে বহু মানুষ পূর্বতন মিমটির নিন্দা করেন। প্রায় ৯২টি শেয়ার হয় কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায়ের ওই পোস্ট। দেবজ্য়োতি মিশ্র, রুক্মিনী মৈত্র থেকে শুরু করে সাহেব ভট্টাচার্য-- বিনোদন জগতের অনেকেই এই মিমের নিন্দা করে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার উল্টোদিকে বেশ কয়েকজন নেট-নাগরিক কমলেশ্বরকে আক্রমণ করেছেন এই বলে যে তাঁর ছবিগুলি নিতান্তই বালখিল্য।
তবে বিতর্ক যাই হোক, পরিচালক যে অত্য়ন্ত রুচিসম্মতভাবে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।