গত বৃহস্পতিবার কারিগরি শিক্ষা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিদান দিয়েছিলেন, পুজো আসছে, চা-বিস্কুট, ঘুগনি নিয়ে বসে যান..। শিক্ষামঞ্চে 'চপ শিল্প' প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় নেটদুনিয়ায় হাসির রোল ওঠে। মমতার এমন ব্যবসায়িক পরামর্শ নিয়ে ঠাট্টা-খিল্লি করতেও পিছপা হয় না নবীন প্রজন্ম। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর 'ঘুগনি-ব্যবসা' নিদান নিয়ে ব্যঙ্গ করে ছড়া কাটলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
Advertisment
বৃহস্পতিবার খড়গপুর স্টেডিয়ামে 'উৎকর্ষ বাংলা' প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষায় সফল শিক্ষার্থীদের নিয়োগপত্র বিতরণের আয়োজন কার হয়েছিল। এদিন যেখানে আগামী দিনে রাজ্যে ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, "কোনও কাজই ছোট নয়। ১ হাজার টাকা নিন। একটা কেটলি আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে বিস্কুট রাখুন। প্রথম সপ্তাহে চা-বিস্কুট দিলেন। বিক্রি হলে পরের সপ্তাহে তেলেভাজা রাখুন। তারপরের সপ্তাহে একটা টেবিল আর টুল নিয়ে বসে যান, মাকে বলুন একটু ঘুগনি বানিয়ে দিতে। পুজো আসছে, দেখবেন দিয়ে কুলোতে পারবেন না।.."
কারিগরি শিক্ষামঞ্চে চপ-তেলেভাজা শিল্পের কথায় মমতাকে নিয়ে হাসাহাসি পড়ে যায়। এমনকী ট্রোল-টিটকিরি করতেও ছাড়েন না অনেকে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই সিনেম্যাটিক স্টাইলে পরিচালক কমলেশ্বরের মন্তব্য, "ঘ য়ে ঘুগনি, চ য়ে চপ, ব য়ে বঙ্গ, ফ য়ে ফ্লপ…।" অতঃপর এই চপ-ঘুগনি শিল্প করে বাংলাকে ফ্লপ করার কথাই যে পরিচালক বলেছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
পরিচালক কমলেশ্বর বরাবরই মনেপ্রাণে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। তাই রাজ্যের রাজনৈতিক কিংবা আর্থ-সামাজিক যে কোনও ইস্যুতেই বিজেপি, তৃণমূলকে তুলোধনা করতে ছাড়েন না। একেবারে স্পষ্ট, সু-ভাষায় শব্দ সাজিয়ে খোঁচা দিতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও তার অন্যথা হল না।
'ঘ য়ে ঘুগনি, চ য়ে চপ, বঙ্গ-ফ্লপ', মমতার 'ঘুগনি-ব্যবসা' নিদানকে ভয়ঙ্কর খোঁচা কমলেশ্বরের
মমতার 'ঘুগনি-ব্যবসা' নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ছড়া পরিচালক কমলেশ্বরের।
Follow Us
গত বৃহস্পতিবার কারিগরি শিক্ষা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিদান দিয়েছিলেন, পুজো আসছে, চা-বিস্কুট, ঘুগনি নিয়ে বসে যান..। শিক্ষামঞ্চে 'চপ শিল্প' প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় নেটদুনিয়ায় হাসির রোল ওঠে। মমতার এমন ব্যবসায়িক পরামর্শ নিয়ে ঠাট্টা-খিল্লি করতেও পিছপা হয় না নবীন প্রজন্ম। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর 'ঘুগনি-ব্যবসা' নিদান নিয়ে ব্যঙ্গ করে ছড়া কাটলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার খড়গপুর স্টেডিয়ামে 'উৎকর্ষ বাংলা' প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষায় সফল শিক্ষার্থীদের নিয়োগপত্র বিতরণের আয়োজন কার হয়েছিল। এদিন যেখানে আগামী দিনে রাজ্যে ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, "কোনও কাজই ছোট নয়। ১ হাজার টাকা নিন। একটা কেটলি আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে বিস্কুট রাখুন। প্রথম সপ্তাহে চা-বিস্কুট দিলেন। বিক্রি হলে পরের সপ্তাহে তেলেভাজা রাখুন। তারপরের সপ্তাহে একটা টেবিল আর টুল নিয়ে বসে যান, মাকে বলুন একটু ঘুগনি বানিয়ে দিতে। পুজো আসছে, দেখবেন দিয়ে কুলোতে পারবেন না।.."
কারিগরি শিক্ষামঞ্চে চপ-তেলেভাজা শিল্পের কথায় মমতাকে নিয়ে হাসাহাসি পড়ে যায়। এমনকী ট্রোল-টিটকিরি করতেও ছাড়েন না অনেকে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই সিনেম্যাটিক স্টাইলে পরিচালক কমলেশ্বরের মন্তব্য, "ঘ য়ে ঘুগনি, চ য়ে চপ, ব য়ে বঙ্গ, ফ য়ে ফ্লপ…।" অতঃপর এই চপ-ঘুগনি শিল্প করে বাংলাকে ফ্লপ করার কথাই যে পরিচালক বলেছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
<আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর অর্থাভাবে টেলিপর্দার পুরনো ‘অমল অসুর’, পাশে দাঁড়ালেন সায়নী ঘোষ>
পরিচালক কমলেশ্বর বরাবরই মনেপ্রাণে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। তাই রাজ্যের রাজনৈতিক কিংবা আর্থ-সামাজিক যে কোনও ইস্যুতেই বিজেপি, তৃণমূলকে তুলোধনা করতে ছাড়েন না। একেবারে স্পষ্ট, সু-ভাষায় শব্দ সাজিয়ে খোঁচা দিতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও তার অন্যথা হল না।