Kanchan Mullick for RG kar protest: যারা আন্দোলন করছেন, তারা বেতন নেবেন তো? টলিউডের যে শিল্পীরা এত বড় বড় কথা বলছেন কিন্তু সরকারি পুরস্কার পেয়েছেন, তারা ফেরত দেবেন তো? সারা রাজ্য যখন আন্দোলনে তোলপাড়, মেয়েরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাস্তায় নেমেছেন, ঠিক তখনই কাঞ্চন মল্লিক এহেন বেফাঁস মন্তব্য করেছেন।
আরজিকর কান্ডের বিচার এখনো অধরা। আজ রবিবার টলিউডের অনেক শিল্পী রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদ করতে। তাদের উদ্দেশ্যে কাঞ্চন নানারকম উক্তি করেছেন। অভিনেতা- তৃণমূল বিধায়কের কথায়, এগুলো নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়। এমনকি তিনি সাফ জিজ্ঞাসা করেছেন, যারা সরকারি চাকুরি, কিন্তু সরকারের বিরোধিতা করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার চাইছেন, পূজো বোনাস নেবেন না তো?
কাঞ্চনের কথায় যা হচ্ছে এবং যেভাবে হচ্ছে, তাতে একটু ভাবনা রাখা প্রয়োজন। অভিনেতা আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে কোন্নগরের মহিলা তৃণমূল ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি এমন কিছু প্রশ্ন তুললেন, যাদের চমকে যেতে হয়। অপরাধীদের শাস্তি প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি, যে বা যারা আন্দোলন করছেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন রাখলেন। কাঞ্চন শাস্তি দাবী করে বলেন, "এটা জঘন্যতম অপরাধ। দোষীদের এমন শাস্তি হোক যেন মানুষ অপরাধ করতে দশবার ভাবে।"
কিন্তু তার পাশাপাশি তিনি এমনও জানালেন, যে মিছিল মিটিং জমায়েতে সমস্ত করে অপরাধ এবং বিচারের অভিমুখ ক্রমশই ঘুরে যাবে। সঠিক বিচার হবেনা। কাঞ্চন বললেন, মিছিলে নাম করেছে বিশৃঙ্খলা এবং বিভ্রান্তি অশান্তি তৈরি হয়েছে, এগুলোর কোন দরকার ছিল? নাকি এগুলো করলে দোষীরা শাস্তি পাবে? নবান্ন অভিযান করে কি দোষীর শাস্তি হলো? এতে আরো লাভের লাভ কিছুই হবে না। বরং শাস্তির অভিমুখ ঘুরে যাবে।"
নবগ্রামের ধর্ণা মঞ্চ থেকে। আমাদের দাবি এই ঘৃণ্যতম অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই অতি শীঘ্রই...
Posted by Kanchan Mullick on Sunday, September 1, 2024
এখানেই শেষ নয়। বহুদিন ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্ম বিরতি জারি রেখেছেন। তা জানিয়েছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত ন্যায় বিচার হচ্ছে ততক্ষণ, তারা তাদের কাজে ফিরবেন না। আর এই ঘটনার সমালোচনা করে অভিনেতা বলেছেন, "যে সকল চিকিৎসকরা আন্দোলনরত, আপনারা আন্দোলন করুন। কিন্তু কোনদিনও ভেবে দেখেছেন যে রোগীরা কি অপরাধ করেছে? আপনারা চিকিৎসকরা আমাদের কাছে ভগবান। এমন কাজ করবেন না যাতে ডাক্তারকে ভগবান বলতে গেলে আবার ভাবতে হয়।"
পাশাপাশি তিনি আরেকটি বিষয় মন্তব্য করে বসেছেন। এবার পুজোর আগে মানুষ মা দুর্গার নয় বরং বিচারের আশা করছেন। কেউ বলছেন পুজোর অনুদান নেবেন না। কেউ বলছেন তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার বয়কট করবেন। পূজোর ৮৫ হাজার টাকা অনেকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু কাঞ্চনের প্রশ্ন অন্য জায়গায়। তিনি বলে বসলেন, "প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত আছে। তবে যারা কর্মবিরতি করছেন বা শাসকদলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা সরকারের বেতনটা নেবেন না তো? বা পূজা উপলক্ষে যে বোনাস টা পাবেন সেটা নেবেন না তো?
উল্লেখ্য, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাঞ্চন আলোচনায়। তৃতীয়বারের মতো শ্রীময়ীকে বিয়ে করেছেন তিনি। তারপর থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। আর ফের একবারই আন্দোলনের নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে আবার রোষানলে পড়বেন না তো?