অভিনেতা থেকে আজ তিনি বিধায়ক। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ কাঞ্চন মল্লিককে একসময়ে অর্থ উপার্জনের তাগিদে কিংবা সংসারের হাল ধরতে ৫ বছর বিউটি পার্লারেও কাজ করতে হয়েছে। আজ ভাগ্যের চাকা ঘুরতেই হাল বদলেছে। এখন তিনি অভিনেতার পাশাপাশি নেতাও।
কাঞ্চন মল্লিক। আজ টলিউডে অতিপরিচিত মুখ। তবে একটা সময় ছিল যখন, এই টালিগঞ্জ স্টুডিওপাড়ায় রোগা চেহারার এই ছেলেটির কোনও পরিচিতি-ই ছিল না। তবে ছিল দু চোখ ভরে স্বপ্ন। অভিনয়ের প্রতি টান। সেই ইচ্ছেডানায় ভর করেই স্বপ্নসন্ধানী থিয়েটার। তারপর টেলিভিশনের পর্দা থেকে বড়পর্দা হয়ে এখন তিনি বাংলার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিধায়ক। তবে একটা সময় ছিল, যখন অভিনয় কেরিয়ার শুরুর আগে বিউটি পার্লারেও কাজ করতে হয়েছে।
অভিনেতা হওয়ার আগে এক প্রসাধনী সংস্থার ওয়ার্কশপ করেছিলেন কাঞ্চন। সেখানেই বিউটি পার্লারের সব কাজ শেখেন তিনি। ফেসিয়াল, মেহেন্দি, মাথার চুল আর জুলপির যে কঠিন জায়গায় কাঁচি চালাতে হয় দক্ষতার সঙ্গে সেসব কাজও নিপুণতার সঙ্গেই পারতেন একসময়ে কাঞ্চন। ওয়াক্সিং কীভাবে করতে হয়, সেটাও জানা বিধায়ক-অভিনেতার।
<আরও পড়ুন: ‘পাত্তাই দেন না! এত দেমাক দেখান কেন?’, কড়া প্রশ্ন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে>
নিজের জীবনের এই চড়াই-উতরাইয়ের কথা একবার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের শো অপুর সংসার-এ শেয়ার করেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে অনেক কটু কথাও শুনতে হয়েছে কাঞ্চনকে পাড়ার লোকের কাছ থেকে। কীরকম? নিজমুখেই সেকথা শেয়ার করেছেন অভিনেতা। শাশ্বতকে জানান সেসময়ে পাড়ার লোকেরা টিটকিরি কেটে বলতেন, "কিচ্ছু করিস না, সারাদিন বসে থাকিস, সংসার চলবে কী করে!" পাল্টা জবাবে কাঞ্চন তখন বলেন, "কাকু আপনাকে পাড়ার লোক চেনে, রোজ দেখে, আর আমায় দেখতে গেলে অ্যাকাডেমিতে টিকিট কেটে দেখতে হয়..।"
জীবনের এই কঠিন সময়ে পেরিয়ে কাঞ্চন মল্লিক আজ অভিনেতা থেকে জনপ্রতিনিধি। উত্তরপাড়ার বিধায়ক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম কাটাছেঁড়া হয়নি। স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ আইনি পর্যায়ে। একমাত্র সন্তান ছেলে স্ত্রীয়ের কাছে থাকে। পাশাপাশি টলিপাড়ায় তাঁর নতুন বান্ধবী শ্রীময়ী চট্টোরাজকে নিয়েও কম কানাঘুষো নেই।