অভিনেতা এবং বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যে মন্তব্য করে বসেছেন তারপর থেকে শুধুই সমালোচনা। সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তাঁরা সরকারি বেতন কিংবা সুযোগ সুবিধা নেবেন না তো? টলিপাড়ার যারা পা মিলিয়েছেন, তারা সরকারি পুরস্কার ফেরত দেবেন তো?
অভিনেতার এই মন্তব্যের পর থেকেই ফের একবার রোষানলে তিনি। শুধু তাই নয়, একে একে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করছেন। একদম সকালে বন্ধু সুদীপ্তা চক্রবর্তী তাঁকে ত্যাগ করেছেন জানিয়ে দেন। আর এবার কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেন সোজা সাপটা জানিয়েছেন, কাঞ্চনের স্কুলে ফেরত চোখে যাওয়া উচিত। ভারতীয় সংবিধান না জেনে যে মোসাহেবী করা যায় না, সেটাই প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন ঋদ্ধি।
প্রথম দিন থেকেই ঋদ্ধি আন্দোলনে নেমেছেন, পায়ে পা মিলিয়ে, গলা তুলে প্রতিবাদ করেছেন। আর আজ যখন কাঞ্চন এরকম একটি মন্তব্য করেছেন, তখন তিনি সোজা বললেন...
"যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে প্রশ্ন করতে গেলে সরকারি মাইনে ফেরত দিয়ে করতে হয় তাহলে সেই একই নিয়মে কাঞ্চন মল্লিকের বাজে বকার জন্য বিধায়ক সহ যেকোনো রাজনৈতিক পদ ফেরত দিয়ে অবিলম্বে স্কুলে ফেরত চলে যাওয়া উচিত,ভারতীয় সংবিধান না জেনে রাজনীতি করা তো দূরের কথা, ঠিক করে মোসাহেবিও করা যায়না l আপনাদের মতো কিছু লোকের ভোট চাওয়ার জন্য 'মানুষের পাশে থাকবো' বলা আর অঙ্ক টুকে পাশ করার চেষ্টা একই জিনিস, দুটোর পরিণতি একই, ইংরেজিতে বলে ‘fail’ আর বাংলায় ‘ভুল’।"
যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে প্রশ্ন করতে গেলে সরকারি মাইনে ফেরত দিয়ে করতে হয় তাহলে সেই একই নিয়মে কাঞ্চন মল্লিকের বাজে...
Posted by Riddhi Sen on Sunday, September 1, 2024
রাজনীতি করতে গেলে পড়াশোনা জানতে হয়। আইন, আদালতের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হয়। কাঞ্চনকে আইনের ধাঁচে ফেলে ঋদ্ধি বললেন... "রাজনীতি বড়োদের কাজ, আপনি বরং স্কুলে শিশুদের কাছে ফিরে গিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ‘article ‘19(1)(a)’টা পড়ে দেখুন, মানুষের পাশে থাকতে গেলে আগে মানুষের অধিকারটা জানতে হয়,“Article 19(1)(a) guarantees freedom of speech and expression to all citizens,this freedom includes the right to express dissenting opinions, criticise the government and engage in peaceful protests and demonstrations", আপনি আসলে কোনোদিনই মানুষের পাশে ছিলেন না, আপনি টাকার পাশে ছিলেন l"
আরও পড়ুন - Jeetu Kamal: 'এরা মমতা দেবীরও না, বিমান বাবুরও না...', আরজি কর কান্ডের মাঝেই উত্তপ্ত মন্তব্য জিতুর
কাঞ্চনের বিয়ের প্রসঙ্গ তুললেন ঋদ্ধি...
কিন্তু, অভিনেতার কাছ থেকে যে তিনি এমনটাই আশা করেন সেও খোলসা করলেন। একজন মানুষ, যিনি তাঁর বিয়েতে দরজার বাইরে লিখেছিলেন, ড্রাইভার এবং বডিগার্ডরা প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁর কাছ থেকে আর ভাল কিছু আশা করেননি তিনি। তাই তো তিনি আরও লিখলেন...
"তবে আপনার মন্তব্যে অবাক হলাম না, যিনি কয়েকমাস আগে তার বিয়েবাড়ির বাইরে লিখে রেখেছিলেন ‘drivers and bodyguards not allowed’ তার কাছে এই মন্তব্যই প্রত্যাশিত, আপনার মনুষত্বের সংবিধানটাই বিকৃত,দূষিত,পচা। তাই অবাক না হয়েই বলছি, প্রতিবাদ করার জন্য কেউ মাইনে বা বোনাস বা চাকরি ফেরত দেবে না, আপনি বরং কোনো মেডিকেল কলেজে আপনার শিরদাঁড়াটা ফেরত দিয়ে আসুন, ছাত্র আর শিক্ষকদের ক্লাসে ডেমন্সট্রেশনের কাজে লাগবে।"
যদিও, কাঞ্চন তাঁর তৃতীয় বিয়ের পর থেকে আলোচনায়। আর গতকাল যে মন্তব্য তিনি করেছেন, বিশেষ করে ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওনারা ভগবান। আপনারা আন্দোলন করছেন করুন, কিন্তু এমন কাজ করবেন না যে আপনাদের ভগবান বলতেও অস্বস্তি হয়।