"আমির খান (Aamir Khan) এবং কিরণ রাওয়ের (Kiran Rao) পুত্র আজাদ শুধু মুসলিম পরিচয় পেল কেন?", প্রশ্ন তুলেছেন বলিউডের 'কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন' কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। এর আগেও ধর্ম নিয়ে মিস্টার পারফেকশনিস্টকে আক্রমণ করেছিলেন কঙ্গনা। এবার তারকাদম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের খবর শোরগোল ফেলতেই ফের একবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
গত শনিবার সকালে আচমকাই ১৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে ইতি টানার কথা যৌথভাবে ঘোষণা করেন আমির খান ও কিরণ রাও। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় বর্তমানে তুমুল চর্চা। মিম-ট্রোলেরও অন্ত নেই। বলিউডের তারকাদম্পতির এহেন সিদ্ধান্তে অনুরাগীরা ব্যথিত তো বটেই, তবে বিষোদগার করতেও ছাড়ছেন না কেউ কেউ। এবার আমির-কিরণের বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুলে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলেন কঙ্গনা রানাউত। সরাসরি প্রশ্ন তুললেন তারকা-দম্পতির সন্তানের ধর্ম নিয়ে।
তবলিঘি জামাত নিয়ে মন্তব্য করে আইনি বিপাকে পড়েছিলেন কঙ্গনা। যার রেশ এখনও কাটেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এবার আমির-কিরণের সন্তান আজাদ রাও খানের (Aazad Rao Khan) ধর্ম পরিচয় নিয়ে মন্তব্য করেও সরাসরি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে অভিনেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ পেল। কঙ্গনা প্রশ্ন তুললেন, কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করলে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে হয় কেন?
<আরও পড়ুন: Shruti Das: বর্ণবিদ্বেষী, কুৎসিত মন্তব্য ‘নোয়া’ শ্রুতিকে! ৮ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের অভিনেত্রীর>
আমির-কিরণের বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে ঠিক কী বললেন কঙ্গনা রানাউত? সদ্য ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সেখানেই ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে কঙ্গনা বলেছেন, "বেশিরভাগ পাঞ্জাবি পরিবারে এক পুত্রকে হিন্দু এবং আরেক পুত্রকে শিখ হিসেবে বড় করা হয়। তবে শিখ-মুসলিম কিংবা কোনও হিন্দু-মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বিয়ে করলে সেই পরিবারে এই রীতি একেবারেই অনুসরণ করা হয় না। আমির খান স্যারের দ্বিতীয়বার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনায় আমি অবাক হয়ে গেলাম যে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিরণ রাও ও আমির খানের ছেলে শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয় পেল কেন?"
প্রসঙ্গত কিরণ নিজেকে নাস্তিক বলেই পরিচয় দেন। বিয়ের পরও নিজের পদবী পরিবর্তন করেননি। অন্যদিকে আমির-কিরণের সন্তানের নাম আজাদ রাও খান। দুই পদবী-ই ব্যবহার করেছেন তাঁরা। কঙ্গনার মত, "সময়ের সঙ্গে মানসিকতাও পরিবর্তন করা দরকার। একটি পরিবারে নাস্তিক, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, রাধাস্বামী মতে বিশ্বাসীরা বসবাস করতে পারেন, তাহলে মুসলিমরা নয় কেন? কেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে?"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন