কঙ্গনার (Kangana Ranaut) সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্সরশিপ চালু করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এবার মামলা দায়ের হল। সেই প্রেক্ষিতেই নিজেকে দেশের সবচাইতে শক্তিশালী মহিলার তকমা দিয়ে বসলেন 'বলিউড ক্যুইন'।
কঙ্গনা রানাউত নামটাই যেন বর্তমানে বিতর্কের আরেকটা সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বদাই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থাকেন কঙ্গনা রানাউত। গত মে মাসে বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। তার আগেও উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসায় মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী, সেই সময়েই আগাম সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছিল কঙ্গনাকে টুইটারের তরফে। কিন্তু ওই স্বভাব যায় না মলে! এরপর একাধিকবার বেঁফাস মন্তব্য করেছেন। কখনও টুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পোস্ট, আবার কখনও বা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট। তাতেও চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। শেষমেশ মে মাসে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যখন কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন, তখনই ঘটে বিপত্তি! চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর টুইটার।
<আরও পড়ুন: ‘খেলা দেখিয়ে দিয়েছে দিদি’, প্রশংসায় ভরালেন স্বরা, ‘রাজনীতিতে আসছ কবে?’, প্রশ্ন মমতার>
এখন অবশ্য ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেই নিজের বক্তব্য পেশ করেন কঙ্গনা। সেখানেও বিতর্কিত মন্তব্য করে বিঁধে চলেছেন কখনও রাজনীতিবিদদের আবার কখনও বা বিনোদুনিয়ার ব্যক্তিত্বদের। এককথায় তার উপস্থিতিতে সর্বদাই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্সরশিপ চালু করার দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছে।
ANI সূত্রে খবর, দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঙ্গনার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির আবেদন জানানো হয়েছে। আর সেই খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিনেত্রী বিদ্রুপ করে বলছেন, "দেশের সবথেকে শক্তিশালী মহিলা আমি।"