পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের। জ্বলছে গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজ্য প্রতিবাদে উত্তাল। বাংলাও বাদ যায়নি সেই আঁচ থেকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ, টায়ার জ্বালানো থেকে শুরু করে বোমাবাজি বাদ যাচ্ছে না কিছুই! একই চিত্র দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত অঞ্চলগুলিতে। এবার সেই পয়গম্বর-বিরোধী মন্তব্য বিতর্কের মাঝেই ফের সাম্প্রদায়িকতার সুর চড়ালেন কঙ্গনা রানাউত।
সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মা হজরত মহম্মদ ও আয়েশাকে নিয়ে প্রকাশ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যে ভিডিও নেটদুনিয়ায় চাউর হতেই প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে গোটা রাষ্ট্রে। পরিস্থিতি এতটাই অস্থির যে, সামাল দিতে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার মন্তব্য, "একজন মহিলা উত্তেজনার বশে কী একটা কথা বলে ফেলেছে, যা নিয়ে মুসলিমরা তো পুরো দেশটাকেই মাথায় তুলে নিয়েছে। এরা কী ধরণের মানুষ! এমন আচরণ সচেতন হওয়ার জন্য যথেষ্ট।"
আমির খান অভিনীত 'পিকে' সিনেমার এক দৃশ্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কঙ্গনা রানাউত এও লেখেন যে, "এইজন্যই আমি হিন্দু ধর্মকে ভালবাসি। আমাদের ধর্ম কিংবা ভাবাবেগ বিষয়ক কেউ কোনও কিছু প্রদর্শন করলেও আমাদের শিবকে এসবে কখনও পাত্তা দেন না। এমনকী আমার আধ্যাত্মিক ধ্যাণধারণা কিংবা বিশ্বাসেও কোনও কুঠারাঘাত করে না।"
<আরও পড়ুন: কুণ্ডলী পাকিয়ে শিশুর ৪ হাত-পা! উদ্ধারে সোনু সুদ, দেখুন>
এখানেই অবশ্য থামেননি বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন! নুপূর শর্মার ঝুলন্ত কুশপুত্তলিকা দাহের ছবি শেয়ার করে ভারতকে আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মন্তব্য," এই দৃশ্য আফগানিস্তানের নয়, এটা ভারত।" উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসা-কাণ্ডের সময়ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। যার জেরে তাঁর টুইটার ও ফেসবুক পেজ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছে। এবার পয়গম্বর-বিতর্কে ফের একবার সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে বসলেন। তবে উল্লেখ্য, কঙ্গনার প্রতিবাদী ভাষা এখন অনেকটাই সংযত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন