শিবসেনার শেষ অধ্যায়, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে ( Uddhav Thackeray )। ছেলে আদিত্য ঠাকরে- কে সঙ্গে নিয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উদ্ধব। যেদিন থেকে তাঁর গদি ছাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে ঠিক সেদিন থেকেই বছর দুয়েক পুরনো কঙ্গনা রানাউতের ( Kangana Ranaut ) সঙ্গে তার বাদানুবাদকে অনেকেই পুনরায় খতিয়ে দেখছেন। অভিনেত্রী বলেছিলেন, 'আজ আমার ঘর ভাঙছে, কাল তোর অহংকার ভাঙবে - সবটাই সময়ের খেলা'। এদিকে, কালের নিয়মে ঘটনা হলও তাই।
গতকাল ইস্তফা দিতেই আজ ফের মহারাষ্ট্রের এই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা রানাউত। যথারীতি মহা-সরকারের এবং উদ্ধব ঠাকরের পতনে উৎফুল্ল কঙ্গনা। ইতিহাস ঘেঁটে নিজের মতামত উত্থাপন করেন অভিনেত্রী। বলেন, "১৯৭৫ -এর পর এই সময় ভারতের লোকতন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ন সময়। সেই সময় লোকনেতা জে পি নারায়নের হুংকারে সিংহাসন ছোড়োর লোকজন সবকিছু ভেঙে দেয়। ২০২০ সালে আমি বলেছিলাম, লোকতন্ত্র সম্পূর্ণটাই বিশ্বাস। শুধু নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে যে বা যারা এই বিশ্বাসকে ভাঙতে পারে তাদের নিজেদের অহংকার একদিন ভেঙে চুর্ন হয়ে যায়। কোনও ব্যক্তিবিশেষের শক্তি নয়, এটা যেকোনও মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয়"।
আরও পড়ুন < ‘এত বিষ ঢালছ কেন?’, নেটিজেনের মুখে ঝামা ঘষলেন মাধবন >
এখানেই শেষ নয়। চিরকালই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিজের সক্রিয় বিশ্বাসকে প্রমাণ করেছেন অভিনেত্রী। এবারও ব্যতিক্রম নয়। পুরনো ঘটনার রেশ ধরেই তিনি বলেন, "হনুমানকে শিবের দ্বাদশ অবতার বলা হয়ে থাকে। সেই হনুমান চলিশাকে শিবসেনা যেখানে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সেখানে স্বয়ং দেবাদিদেব শিবও তাদের বাঁচাতে পারে না"।
উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কঙ্গনার দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। ২০২০ সালে সুশান্তের মৃত্যুর পরই কঙ্গনা মন্তব্য করে বসেন, যে মৃত্যুর আগের দিন রাতে উদ্ধব-পুত্র আদিত্যর সঙ্গেই পার্টি করেছিলেন অভিনেতা। তার এই অযাচিত মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই, কঙ্গনার বান্দ্রার পালি হিলসের বাংলোকে ভেঙে দেয় BMC। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সেই মুহূর্তে উদ্ধব ঠাকরেকে গালমন্দ, শাপ শাপান্ত করেছিলেন কঙ্গনা। তার মন্তব্যের জেরে হাজারো FIR দায়ের হয়েছিল দেশজুড়ে। অভিনেত্রী মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলেন, "উদ্ধব ঠাকরে তোর কি মনে হয় তুই ফিল্ম মাফিয়াদের সঙ্গে চক্রান্ত করে আমার সঙ্গে অনেক বড় প্রতিশোধ নিয়ে নিয়েছিস? আজ আমার ঘর ভেঙেছে কাল তোর অহংকারের পতন হবে। এটা সময়ের খেলা। দিন সবসময় এক যায় না"।