করোনার প্রতিষেধক যেমন এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে, তেমনই কীভাবে এই অসুখ সারিয়ে তোলা যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষকরা। তেমনই একটি পদ্ধতির কথা উঠে এসেছে সম্প্রতি যেখানে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্তের প্লাজমা ব্যবহৃত হয় আর এক সংক্রামিত ব্যক্তির চিকিৎসায়। সেই উদ্দেশ্যেই নিজের রক্ত দিতে চান সম্প্রতি করোনামুক্ত বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুর।
প্রায় দেড় মাস আগে কোভিড টেস্ট পজিটিভ আসে কনিকা কাপুরের। এর পরে দীর্ঘ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চার বার তাঁর করোনা টেস্ট পজিটিভ আসে। একটা সময়ে তো তিনি অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। কোয়ারান্টাইনে থেকে, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থেকেও কিছুতেই সেরে উঠছিলেন না তিনি। কিন্তু রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে তিনি শেষমেশ ছাড়া পান হসপিটাল থেকে।
আরও পড়ুন: ‘অনেক ভুল তথ্য, ভুল বোঝাবুঝি ছিল’, কোভিড পজিটিভ নিয়ে মুখ খুললেন কনিকা
এর পর প্রায় ২১ দিন তিনি কোয়ারান্টাইনেই থেকেছেন নিজের বাড়িতে। তাঁর বিদেশভ্রমণ, এদেশে ফেরার পর তাঁর গতিবিধি নিয়ে যে প্রচুর ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছিল, সেকথাও তিনি লিখেছেন সম্প্রতি তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে। চিকিৎসকের পরামর্শেই ২১ দিন তিনি অপেক্ষা করেছেন যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তাঁর শরীরে আর কোনও সংক্রমণ নেই।
তাই বর্তমানে সুস্থ কনিকা এবার সহযোগিতা করতে চান দেশের করোনা-গবেষণায়। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর রক্তের নমুনা পাঠিয়েছেন কিং জর্জস মেডিকাল ইউনিভার্সিটিতে, জানা গিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে। যদি তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে সবকিছু আশানুরূপ থাকে, তবে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই তাঁকে রক্তদানের জন্য ডাকা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রমুখ তুলিকা চন্দ্র।
আরও পড়ুন, মানুষের জন্য কাজ করছি, সেটা আবার প্রচার করব, আমার এসব পছন্দ নয়: পার্নো
আইসিএমআর অতি সম্প্রতিই বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকদের এই কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছে। যেহেতু করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে ওই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি রয়েছে তাই সেই অ্যান্টিবডি যদি আক্রান্ত আর এক ব্যক্তির শরীরে দেওয়া হয় তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করবে-- এটাই হল থেরাপির মূল কথা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন