করোনা সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কণিকা কাপুরের। কোভিড টেস্ট পজিটিভ হওয়ার পর সম্প্রতি সুস্থ হয়ে উঠে নিজের প্লাজমা সংক্রমিত ব্যক্তির চিকিৎসায় দান করতে চান কণিকা। কিন্তু সেখানেও দেখা দিয়েছে এক সমস্যা।
কণিকার প্লাজমা দানের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানান হয়েছে অভিনেত্রীর দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমান খুবই কম। সেই কারণে তিনি চাইলেও প্লাজমা দিতে পারবেন না। দেশের করোনা-গবেষণায় সহযোগিতা করার জন্য কিং জর্জস মেডিকাল ইউনিভার্সিটিতে রক্তের নমুনা পাঠান অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন, ইরফানের পথেই হাঁটলেন ‘গোল্ডম্যান’ ঋষি
এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন অফ মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ চন্দ্র বলেন, "কণিকা কাপুরের ব্লাড স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছিল প্লাজমা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করতেই। ওনার উচিত আরও কিছু সময় অপেক্ষা করা।" এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ভাইস চ্যান্সেলর এম এল বি ভট্ট বলেন, "প্লাজমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্যারামিটার মানতে হয় সবকটির রিপোর্টটি যথাযথ আছে কণিকা কাপুরের রক্তে। কিন্তু হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম রয়েছে। তাই এখনই প্লাজমা দান করা সম্ভব নয়।"
আরও পড়ুন, ইরফান নেই, মানতেই পারছে না বাংলা ইন্ডাস্ট্রি
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় মাস আগে কোভিড টেস্ট পজিটিভ আসে কনিকা কাপুরের। এর পরে দীর্ঘ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চার বার তাঁর করোনা টেস্ট পজিটিভ আসে। একটা সময়ে তো তিনি অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। কোয়ারান্টাইনে থেকে, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থেকেও কিছুতেই সেরে উঠছিলেন না তিনি। কিন্তু রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে তিনি শেষমেশ ছাড়া পান হসপিটাল থেকে।
আইসিএমআর অতি সম্প্রতিই বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকদের এই কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছে। যেহেতু করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে ওই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি রয়েছে তাই সেই অ্যান্টিবডি যদি আক্রান্ত আর এক ব্যক্তির শরীরে দেওয়া হয় তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করবে– এটাই হল থেরাপির মূল কথা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন