বলিউডের কাপুর খানদানের পাকিস্তানের হাভেলি ভেঙে ফেলার হুমকি আসছে। পৃত্থীরাজ কপূর ও রাজ কপূরের জন্মভিটেতে কর্মাশিয়াল কমপ্লেক্স তৈরির করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন বর্তমান মালিক। ২০১৮ সালে পাকিস্তান সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজারের কাপুর হাভেলি-কে মিউজিয়ামে পরিণত করার। অনুরোধ করেছিলেন ঋষি কাপুরও। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা।
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি ঋষি কাপুরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, পাকিস্তান সরকার অভিনেতার বাড়িটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে কাপুর হাভেলি। বাড়ির যা অবস্থা তাতে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে।
হাভেলি-র বর্তমান মালিকানা সোনা ব্যবসায়ী হাজি মহম্মদ ইসরার কাছে। যদিও সরকার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ ও মিউজিয়াম তৈরির জন্য কিনতেও চেয়েছিল। কিন্তু হাজি মহম্মদ ইসরার নাকি রাজি নন, তিনি বাড়িটি ভেঙে কর্মাশিয়াল বিল্ডিং বানাতে আগ্রহী। তিন-চারবার সেই চেষ্টাও করেছেন। কিন্ত তাঁর বিরুদ্ধে খাইবার পাখতুনখোয়া হেরিটেজ দফতর এফআইআর করায় তিনি এগোতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে কাপুর হাভেলি।
আরও পড়ুন, ধর্ষণ ও খুনের হুমকি, স্ক্রিনশট প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি মহেশ কন্যার
পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের বাড়িটি ইসরার সরকারের কাছে বিক্রি জন্য মনের মতো দাম পাচ্ছেন না। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। ইসরার বলেন, ''আমার প্রয়োজনের থেকে বেশি মেটানোর টাকা রয়েছে। ১২০ থেকে ১৬০ কেজি সোনা আমি পেশওয়ারের বড় গয়নার মার্কেটে বিক্রি করি।''
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭-এ দেশভাগের পর পেশোয়ার ছেড়ে ভারতে চলে আসে কাপুর পরিবার। তারপরে নব্বই দশকের প্রথমদিকে ভাই রণধীর কাপুরকে নিয়ে একবার বাড়িটি দেখতে যান ঋষি কাপুর। কাপুর হাভেলি তৈরি করেছিলেন বলিউডের প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব পৃথ্বীরাজ কাপুরেকর বাবা বাশেশ্বরনাথ কাপুর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন