Kareena-Jeh-Taimur Visit Saif: ছোট্ট তৈমুরের সামনেই বাবার উপর ভয়ংকর হামলা। পতৌদি প্যালেসে দুষ্কৃতীর আচমকা প্রবেশ। পরিবরাকে বাঁচাতে রিয়েল লাইফ এজেন্ট বিনোদের ভূমিকায় উত্তীর্ণ সইফ আলি খান। বুধবার মধ্যরাতে দুষ্কৃতীর হামলায় গুরুতর জখম ছোটে নবাব। ছ'বার ছুরিকাঘাতের জেরে প্রাণনাশের সংশয় ছিল সইফের।
তবে অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই ভাল আছেন পতৌদি নবাব সইফ আলি খান। পরিবারের সদস্য থেকে সহকর্মী, কাছের মানুষজন প্রত্যেকেই হাসপাতালে এসে সইফকে দেখে গিয়েছেন। রবিবার সকালে দুই ছেলে জেহ-তৈমুরকে নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান।
কড়া নিরাপত্তার বলয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন বেবো। সঙ্গে রয়েছেন ন্যানি আর দেহরক্ষীরা। সেলেব পাপারাৎজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই মুহূর্ত। উল্লেখ্য, সইফের উপর হামলার ঘটনার পর করিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জি করেছিলেন, তাঁদের পরিবারকে যেন এখন একটু একা থাকতে দেওয়া হয়।
অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানও একটি বিষয়ে নজরে এনেছিলেন। তাঁর মতে, সবসময় তারকাদের উপর প্যাপেদের নজরদারীর জন্যই কোনও গোপনীয়তা বজায় থাকে না। এদিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সইফকাণ্ডে যুক্ত মূল অভিযুক্তকে।
মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিল ওই ব্যক্তি। সইফকে ছুরিকাঘাতের পর বান্দ্রা থেকে ট্রেন ধরে দাদর যায়। সেখান থেকে ওরলি কোলিওয়াড়ায় নিজের বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। টিভিতে নিজের ছবি দেখে ভয় পেয়ে থানে-তে যায়।
এর মাঝেই বান্দ্রা পুলিশের হাতে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে ছুরি দিয়ে সইফকে আঘাত করা হয়েছিল তার বাকি অংশ উদ্ধার হল সইফিনার বাচ্চাদের ঘর থেকে। সেটিকে ইতিমধ্যেই ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়েছে। কার হাতের ছাপ ছুরিতে রয়েছে সেটি পরীক্ষা করতেই ছুরিটিকে ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সইফ কাণ্ডে নয়া মোড়, হামলাকারী গ্রেফতার হতেই জেহ-তৈমুরের ঘর থেকে উদ্ধার চাঞ্চল্যকর জিনিস!