/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/09/kareena.jpg)
দুই ছেলেকে নিয়ে সইফ-করিনা
বলিউডের স্টারকিডদের ওপর সবসময় সকলের নজর থাকে। এমনকি তাদের চলন-বলন থেকে হাবভাব - সবকিছুতেই দর্শকদের দৃষ্টি থাকে মারাত্মকভাবে। করিনা এবং সইফের প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানের জন্মের পর থেকেই তাকে নিয়ে শোরগোল কম হয়নি। তবে দিন পেরিয়েছে, স্টার কিডদের তালিকায় জুড়েছেন আরও অনেকেই। এরই মাঝে তৈমুরকে নিয়ে সিক্রেট শেয়ার করলেন করিনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, আজ অনেকটাই পরিণত তৈমুর। সবকিছুই সে বুঝতে পারে। করিনা বললেন, "আমি সবসময় ওদের বোঝাতে চেয়েছি যে তোমাদের বাবা মা সর্বক্ষণ সময় দিতে পারবে না। আমরা কাজ করি। ওদের বেড়ে ওঠার জন্য এটা সত্যি খুব দরকার ছিল। করিনার বক্তব্য, তৈমুরের যখন সাত মাস বয়স তখন থেকে আমি কাজ করছি। লক্ষ্য এটাই ছিল, যেন ওরা বুঝতে পারে যে আমায় কাজের জন্য বাইরে যেতে হবে। ওদের বাবাকে কাজের সূত্রে বাইরে যেতে হবে"।
আরও পড়ুন < সম্পর্কে ভাঙন? ললিতের জীবন থেকে সরলেন সুস্মিতা! >
ছোট্ট তৈমুর এখন অনেকটাই বড়। ভাই জেহকে নিজের মত করে সামলায় সে। কিন্তু বাবা মায়ের কাজের চাপ এখন সে বেজায় বুঝতে পারে। এও বুঝতে পারে যে ভালভাবে জীবনযাপন করতেই তার বাবা-মা কাজ করেন। এমনিতেই বাবার ভক্ত তৈমুর। করিনা বলেন, "টিম ( Taimur Ali Khan ) ওর বাবার খুব কাছের। বাবার সঙ্গে বসে সিনেমা দেখে, সময় কাটায়। এমনকি ওর বাবার মতই হতে চায়। বাবার সঙ্গে মিলে ওরা দল বানিয়েছে। ছেলেরা সবাই আমার বিরুদ্ধে! দুজনেই বাবার সঙ্গে টিম আপ সেরেছে ভালমতন"।
পরিবারের সকলেই কর্মরত। ছোট থেকেই সেই পরিবেশে বড় হয়েছে তৈমুর। কিন্তু পরিবারের মেয়েরাও যে বাইরে কাজ করেন সেই শিক্ষাই ছেলেকে দিতে চেয়েছেন করিনা। অভিনেত্রী বলেন, "এরকম মূল্যবোধ থাকা খুব দরকার যাতে তারা বুঝতে পারে যে আমার বাড়িতে ঘরের মহিলারাও কাজ করেন"। তৈমুরকে নীতিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান করিনা।
ছেলেকে আর্টিস্ট হিসেবে দেখতে চান। বিশ্বাসও করেন যে ওর মধ্যে রয়েছে সেই ধরনের গুণ। চারিদিকে যা দেখে সেটাই আঁকতে চেষ্টা করে। নিজের রংতুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ সময় রং পেন্সিল নিয়েই থাকে তৈমুর। কিছুদিন আগেও পতৌদি প্যালেসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন সপরিবারে। সেখানেও মাঠে ঘাটে খেলে বেরিয়েছে টিমটিম, সেই ছবিও শেয়ার করেছিলেন করিনা নিজেই।