Rupanjana Mitra on Pahalgam Terror Attack 2025: ভুস্বর্গের চারপাশার উত্তপ্ত। যে কাশ্মীরকে মানুষ চিনতো এই কাশ্মীর সেই কাশ্মীর নয়। যদি ওই কাশ্মীর আগে বহু রক্তাক্ত অবস্থার সাক্ষী থেকেছে। চোখের সামনে হতে দেখেছে বহু যুদ্ধ। কিন্তু সেই দিন যা কাশ্মীরে ঘটে গেছে, নিরীহ মানুষ যেভাবে প্রাণ হারিয়েছে জঙ্গিদের গুলিতে, তাতে ক্ষুব্ধ গোটা ভারতবাসী। ভারতের মানুষের উপর এহেন নির্মম অত্যাচারের বদলা নিতে প্রস্তুত ভারত সরকার। প্রাথমিক সূত্রের খবর সাধারণত অমুসলিমদের, টার্গেট করে গুলি চালানো হয়।
আর তার মধ্যে বহু মানুষ সমাজ মাধ্যমে নানা কিছু পোস্ট করছেন। যারা কাশ্মীরের ( Kashmir Terror Attack ) প্রেমে পড়েছিলেন একসময়, সেই মানুষগুলোর শব্দেই আজকে আতঙ্কের রেশ। যে কাশ্মীরে এক বছর আগে বা মাস দুয়েক আগেও মানুষ, দারুন বিউটি উপভোগ করতে গিয়েছিলেন, সে মানুষগুলোই ফের একবার কাশ্মীর যাওয়ার নামে ভয় কাঁপছেন। এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তারা সমাজ মাধ্যমে। তার মধ্যে বাদ পড়েনি বাংলার আরেক অভিনেত্রীর রূপাঞ্জনা মিত্র ( Rupanjana Maitra ) নিজেও। বিয়ের পরপরই তার স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে ভূস্বর্গে গিয়েছিলেন। সেখানে মনে মুগ্ধকর করা পরিবেশে হারিয়ে গিয়েছিলেন তারা।
Pakistani Actor-Pahalgam Terror Attack: স্বপ্ন ভেঙে চুরমার! পহেলগাঁও…
কিন্তু আজ রক্তাক্ত ভূস্বর্গকে দেখে যেন কিছুই মেনে নিতে পারছেন না। অভিনেত্রী লিখছেন, “গত বছর মে মাসে আমরা পহেলগাঁওয়ের বৈসারানে গিয়েছিলাম – এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গতকালই সেই জায়গা পরিণত হয়েছিল আতঙ্কের জায়গায়। নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনেরও বেশি নিরীহ মানুষের প্রাণহানি। কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়।"
যদিও সেখানে এই পরিবেশ ছাড়াও সাংঘাতিক এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁরা। কাশ্মীরে ল্যান্ড করার আগেই সেখানে যে এক ঘটনা ঘটেছে, সেই প্রসঙ্গে জানতে পেরেছিলেন। অভিনেত্রী সেই পরস্থিত্তি বর্ণনা করেই লিখছেন, "এমনকি গত বছরও, আমরা যখন শ্রীনগরে নামলাম তখনও উত্তেজনা ছিল - আমরা পৌঁছানোর ঠিক আগে একটা হামলা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা বিধ্বংসী। আল্লাহ দয়ালু নন। এটা এখন আর শুধু জাতীয় ট্র্যাজেডি নয়, ব্যক্তিগত মনে হয়। এটা আমাদের যে কেউ ফেস করতে পারত।"
Pahalgam Terror Attack 2025: 'বাঁচতে দিন, দয়া করে এবার আমাদের বাঁচতে দিন', কাতর আর্জি কাশ্মীরের ঘরের ছেলের, চোখে জল নিয়েই....
তিনি আরও বলেন, "সময় বদলাচ্ছে। আসুন আমরা শুধু শোক পালন না করি, কাজ করি। আসুন আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি যে পরিবারগুলি তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের জন্য আমরা কী করতে পারি।" এদিকে রুপাঞ্জনার এই পোস্ট দেখে, একদল চূড়ান্ত রেগে গিয়েছেন। দুদিন আগে যা ঘটেছে তার সঙ্গে অন্য সময়ের অভিজ্ঞতার কোন মিল নেই। সমাজ মাধ্যমে যারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা পোস্ট করছিলেন, তাঁদের অনেকেই তুলোধোনা করেছেন। রূপাঞ্জনা ও ছাড় পেলেন না। কেউ কেউ তাকে বললেন... "আপনারা বার্তা দিন, কিন্তু ছবি পোস্ট করছেন কেন?" আবার কেউ বললেন, "এইসময় এসব ছবি পোস্ট করেছেন যে?"