একদিকে যখন কার্নিভালের রঙে রঙিন রেড রোড, তখন প্রদীপের তলায় অন্ধকারের মতো অনতিদূরে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা। রবিবার যখন কোজাগরী পূর্ণিমায় গোটা বাংলা ধনদেবীর আরাধনায় মগ্ন, তখন ৫৭৪ দিন পড়ল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। নিয়োগের দাবিতে কবে থেকে তাঁরা শহরের রাজপথে বসে। লক্ষ্মীপুজোর দিন ধরনামঞ্চে সপরিবারে এলেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন। কথা বললেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে।
এদিন ধরনামঞ্চে আসেন কৌশিক সেন, তাঁর ছেলে অভিনেতা ঋদ্ধি সেন, স্ত্রী রেশমি সেন এবং অভিনেত্রী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৌশিকরা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিজয়ার মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন। প্রতীকী কালো পোশাক পরে সবাই আসেন ধরনামঞ্চে। কৌশিক সেন জানান, “এখন কথা হচ্ছে, তৃণমূল কী দুর্নীতি করেছে, কতটা করেছে, আগে কতটা করেছিল আর এখন কতটা করছে। এসব ঠিকুজিকুষ্ঠী জেনে তো আমাদের কোনও কাজ নেই। দোষীরা শাস্তি পাক, তদন্ত আইনের পথে চলুক, সরকার উল্টে যাক, কিন্তু এঁরা যেন নিয়োগ পায়, ব্যস এটাই আমরা চাই।”
আরও পড়ুন মন্ত্রোচ্চারণে ভক্তিভরে লক্ষ্মীপুজো মদনের, বেতনের টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দিলেন বিধায়ক
কৌশিক সেন বলেছেন, “আমার বন্ধু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু তাঁকে একজন মন্ত্রী হিসাবেই দেখি। আমি তাঁর কাছে দফতরের সচিবের মাধ্যমে দেখা করতে চাইব। এঁদের দাবিটা মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। এতটাই আমি করতে পারি, আর সেটা করব।”
কৌশিক-ঋদ্ধিরা সবাই কালো পোশাক পরে এসেছিলেন এই প্রসঙ্গে রেশমি বলেছেন, “গতকাল তো একটা এত রঙিন কার্নিভাল হল। গোটা দুর্গাপুজোয় সবাই রঙিন ছিলেন। কিন্তু ওঁদের অসহায়তার কথা ভেবে আমরা যদি কালো পরে প্রতিবাদ জানাই, সেটা কি অপরাধ? ওঁদের মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে সরকার ওঁদের একটু দেখুক।”

আরও পড়ুন নিজে হাতে সাজিয়েছেন লক্ষ্মী প্রতিমা, মাতৃ আরাধনায় ব্যস্ত অপরাজিতা আঢ্য
ঋদ্ধি বলেছেন, “আদালতের নির্দেশেই ওঁরা চাকরি পাবে এটাই সব নয়। প্রশাসন চাইলে ওঁদের চাকরি দিতে পারে। সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রতিবাদ করার। আর সেই প্রতিবাদের জন্যই আমরা এখানে এসেছি।” এদিকে, এদিন চাকরিপ্রার্থীরা প্রতীকী লক্ষ্মীপুজো করেন ধরনামঞ্চে। একজন মহিলা চাকরিপ্রার্থী দেবী লক্ষ্মী সেজে হাতে ধান নিয়ে বসেন। তাঁকে পুজো করেন পুরোহিত।