সত্তরের উত্তাল সময়। ১৯৭৫ সাল। জরুরী অবস্থার ঘোষণা হয়েছে। যুবক-যুবতীরা হাতে প্রাণ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে কোনও সময় নকশাল সন্দেহে প্রশাসনের হাতে গুলি খেয়ে মারা পড়তে পারে। এই উত্তাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক প্রেমের গল্প। কী পরিণতি হয় শেষমেশ? এই নিয়েই একটা সাসপেন্স থ্রিলার এবং প্রেমের গল্প 'কাবেরী অন্তর্ধান'।
সেপ্রসঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন ছুঁড়েছিল, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট হলে বরাবরই একশ্রেণীর কৌতূহল বেড়ে যায় এবং কখনও কখনও অযাচিতভাবে রাজনৈতিক সিনেমার তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। এটা কতটা যুক্তিযুক্তি?
একমুহূর্ত দেরি না করে এল ক্ষুরধার উত্তর। কৌশিক বললেন, "এমার্জেন্সি পিরিওড। নকশাল আন্দোলন। ডুয়ার্সে তখন নকশাল বাড়ি আন্দোলন শুরু হয়েছে। গল্পের আবহ অস্থির সময় হলেও এই ছবিকে রাজনৈতিক ছবির তকমা দেওয়া যায় না। রাজনৈতিক সিনেমা বানানোর জন্য আমাদের ভারতবর্ষ এখনও প্রস্তুত নয়। অন্তত আমি নই। যেদিন রাজনৈতিক সিনেমা বানিয়ে প্রেক্ষাগৃহে রমরমা করে চালানো যাবে, সেদিন বানাব। কারণ, রাজনৈতিক সিনেমার গল্পে কোনও এক পক্ষ আঘাত পাবে। সেটা নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হবে।"
<আরও পড়ুন: ‘বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহরুখ, আর ‘পাঠান-‘এর জন্য বাংলা ছবিই ব্রাত্য..’, বিস্ফোরক কৌশিক>
বহু সিনেমাকে বয়কট ট্রেন্ড্রের শিকার হতে হয়েছে। এমনকী, কৌশিক-উজানের 'লক্ষ্মীছেলে'ও এমন অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী। সে বলিউড হোক বা টলিউড, এই ট্রেন্ড এখন সর্বত্র। এপ্রসঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সপাট মন্তব্য, "কোনও ছবি জনতা দেখতে চাইলে, কারও আটকানোর ক্ষমতা নেই।"
২০ জানুয়ারি, শুক্রবারই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে 'কাবেরী অন্তর্ধান'। যে ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেনের পাশাপাশি নিজেও অভিনয় করেছেন পরিচালক। এক গোয়েন্দার চরিত্রে দেখা গিয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে। গল্পের এই বিশেষ চরিত্রে নিজেকে কেন ভাবলেন? জিজ্ঞেস করতেই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তর, "ভাবলাম একটা কাস্ট কম লাগবে। প্রযোজকের টাকা বাঁচবে। 'বিসর্জন', 'বিজয়া', 'বাস্তুশাপ', 'দৃষ্টিকোণ'-- এরকম একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কোনও পারিশ্রমিক নিইনি।"