অটিজিমে আক্রান্ত এক মেয়ে বদ্ধপরিকর, বন্ধু বিড়ালের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করবে সে। সেই সন্ধানের রাস্তাতেই জানতে পারে তার বাবা মৃত নয়, জীবিত। সুতরাং, শুরু হয় বাবাকে খোঁজার অভিযান। সেই কিয়া আর তার কসমসকে (বিড়াল) নিয়ে তৈরি ছবিতে কিয়ার মায়ের ভূমিকায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনি এদিন কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে।
ছবিটা স্বস্তিকার কাছে এল কীভাবে? এখানে তো কোনও চেনা নামও নেই।
সব সময়েই ভাল সিনেমা, কাজ করার মতো চিত্রনাট্যের অংশ হতে চেয়েছি। বড় প্রযোজনা সংস্থা, বা বিগ শট নামের সঙ্গে থাকার থেকে এগুলোই বরাবর টেনেছে আমাকে। তাছাড়া বলা যায়, বড় প্রযোজনার সঙ্গে আমি হাতে গুণে কাজ করেছি।
সুদীপ্ত (পরিচালক) আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এক পরিচিতর মাধ্যমে। তারপরে দেখা হয়, চিত্রনাট্য পড়ি, আমার অসম্ভব ভাল লেগেছিল। আর এ ধরনের ইস্যু নিয়ে বাংলা সিনেমায় কাজ হয়না। পুরো টিমটার সঙ্গেও কথা বলে মনে হয়েছিল, এরা সিনেমাটাই বানাতে চায়।
জানতেন ছবিটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ে তৈরি হচ্ছে?
আমি জানতাম ওদের কোনও পয়সা নেই (হাসি)। প্রায় ঘটি-বাটি বেঁচে ছবিটা করার চেষ্টা করছিল। সেকারণেই প্রাথমিক পর্যায়ে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনও কথা হয়নি। যেটুকু হয়েছিল সেটাও পাব কিনা, দিতে পারবে কিনা জানতাম না। তবুও ছবিটা করতে চেয়েছিলাম। ফলে যখন যেমন টাকা আসত সেরকমই শুটিং হত।
আরও পড়ুন, ‘তারিখ’-এর কারণে পিছিয়ে গেল ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র মুক্তি
কিয়া অর্থাৎ ঋত্বিকার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা?
অনবদ্য, দেখ আমারও প্রথম ছবি কোনও এককালে ছিল। আমি ওর জায়গায় থাকলে পারতাম না। এমনকী স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের সময়, সেটের বাইরেও ও চরিত্রের মধ্যে। একটা সময় তো বলেই ফেলেছিলাম, তুই প্লিজ ঋত্বিকা হয়ে কথা বল আমার দমবন্ধ লাগছে (হাসি)।
ইন্ডাস্ট্রিকে পাশে পেয়েছেন? সোশ্যাল প্রচারেও খুব একটা দেখা যাচ্ছে কি?
আমাদের এখানে এই বিষয়গুলো তো নকল। কোনও আশাও রাখি না যদিও। মৈনাকের কথা হয়েছে, আমাকে বলল ওর ভাল লেগেছে ট্রেলারটা। বিশ্বাস করুন, আমরা একসঙ্গে ভাল কিছু করব সেরকম অবস্থা এখানে নেই। মানে কেউ একসঙ্গে কিছুই করতে চায় না।
আপনি তো প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন...
হ্যাঁ! সত্যি কথা বলতে ছবিটাতে কাজই করেছে চার-পাঁচজন লোক। তারা সেভাবে পরিচিত মুখও নয়। এই দু দিন আগে ছবির পোস্টার ছাপা হয়েছে। অন্যদিকে, একসঙ্গে দুটো বড় রিলিজ শহরে, তারা তো পোস্টারে মুড়ে দিয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমার সোশাল অ্যাকাউন্ট থেকে যদি কিছু মানুষ 'কিয়া এন্ড কসমস' নিয়ে জানতে পারে, তাতে তো ক্ষতি নেই। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়াই একমাত্র হাতিয়ার।