২৫ এপ্রিল বিকেল। জমজমাট নজরুল মঞ্চ। তারকা-খচিত ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উপস্থিত খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দুই তারকা সাংসদ নুসরত জাহান, দীপক অধিকারীকে। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চেয়ারপার্সন হিসেবে এদিন শশব্যস্ত তারকা-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু আরেক সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী অনুপস্থিত। দেব-নুসরত থাকলেও মিমি নেই কেন? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন যাদবপুরের তারকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্যোক্তাদের উদাসীনতার অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ-অভিনেত্রী! মিমির মন্তব্য, তাঁকে ঠিক করে আমন্ত্রণ-ই জানানো হয়নি চলচ্চিত্র উৎসবে। লেটারবক্সে শুধুমাত্র আমন্ত্রণপত্র আসাই সার! আয়োজকদের পক্ষ থেকে কোনও ফোন কিংবা এসএমএস করেও অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। কোথায়-কখন যেতে হবে, সেটাও তিনি জানতেন না।
এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মিমি সাফ জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেতে হয় তাঁকে। কিন্তু কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এমন দায়সারা আমন্ত্রণে তিনি হতবাক। এই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও এমন অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে হয়েছে সাংসদ-নায়িকাকে। মিমি জানান, ২০১৯ সালের কথা। সেবছর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সঞ্চালকরা সবার নাম সেখানে উল্লেখ করলেও যথাযথভাবে মিমি চক্রবর্তীর নাম নেননি। ইন্ডাস্ট্রির সকলের নাম ডাকার পরে নাকি বলা হয়েছিল- "মিমিও রয়েছেন আমাদের সঙ্গে।" বলাই বাহুল্য এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল সাংসদ-অভিনেত্রীকে।
<আরও পড়ুন: ‘থুরি’! বন্ধ তো হচ্ছে-ই না, বরং ‘কফি উইথ করণ’ ফিরছে নয়া টুইস্ট নিয়ে>
মিমির অভিযোগ, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে একাধিকবার অপমানিত হতে হয়েছে তাঁকে। ক্ষুব্ধ অভিনেত্রীর প্রশ্ন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের দায়িত্ব কিছু মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। ওঁর পক্ষে তো সব একসঙ্গে দেখা সম্ভব নয়।"
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকেই কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। এবার প্রশ্ন, নাম না করে মিমি চক্রবর্তী কি তাঁর দিকেই তোপ দাগলেন? ১২ বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন মিমি। তারপরও এমন দায়সারাভাবে আমন্ত্রণ অভিনেত্রীকে! এমন প্রশ্ন কিন্তু অনেকেই তুলেছেন। তবে, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন শ্রীলেখা মিত্রও। তা নিয়েও কম শোরগোল হয়নি।
প্রসঙ্গত, সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষ, রঞ্জিৎ মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, ইন্দ্রাণী হালদার, শতাব্দী রায়, গৌতম ঘোষ, সায়নী ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়-সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন