বিতর্ক আর আইনি জটিলতা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। মাসখানেক ধরেই স্ত্রী আলিয়ার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা নিয়ে কোর্ট-কাছারির চক্কর কাটতে হচ্ছে তাঁকে। কম কাদা ছোড়াছুঁড়িও চলছে না। এবার ফের আইনি বিপাকে নওয়াজ।
এক পাণীয়র বিজ্ঞাপনে বাঙালিদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অভিনেতা। যার জেরে এবার মাশুল গুণতে হল নওয়াজকে। কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল তাঁর বিরুদ্ধে পিটিশন। সম্প্রতি এক ঠান্ডা পাণীয়ের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে। যা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সেই বিজ্ঞাপনের হিন্দি ভার্সন যথাযথ হলেও ডাবিং করা বাংলা ভার্সনের বিজ্ঞাপন নিয়ে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে কলকাতা উচ্চ আদালতের আইনজীবী দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন।
পিটিশন দাখিলকারী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, সম্প্রতি যে ঠান্ডা পাণীয়র বিজ্ঞাপন করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, সেখানে বাঙালিদের নিয়ে মশকরা করা হয়েছে। মজার নামে বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে এমন কিছু কথা বলা হয়েছে যা বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত করেছে। সমাজ মাধ্য়মের পাতাতেও অনেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টে নওয়াজের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
<আরও পড়ুন: ‘সলমন আমাকে বিয়ে করো..’, ভিড়ে উন্মত্ত তরুণীর চিৎকার! ব্যাচেলর ভাইজানের জবাব…>
কী এমন ছিল ওই বিজ্ঞাপনে যে নিয়ে এত্ত শোরগোল? সেখানে নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকিকে দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিমায় হাসতে। বাংলায় সংলাপ- সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে, বাঙালি ঘুমিয়ে পড়ে। যার অর্থ সহজভাবে কাজ হাসিল করতে না পারলে বাঙালি পেটে খিদে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। যার অর্থ খানিক এরকম দাঁড়ায় যে, বাঙালিরা অলস! সেই প্রেক্ষিতেই তেলে বেগুনে জ্বেল উঠেছে বাংলা পক্ষ। প্রতিবাদ করেছেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়ও।
আইনজীবী দিব্যায়ন জানান, হিন্দি বিজ্ঞাপন নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলা বিজ্ঞাপনটির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলায় এত প্রতিবাদের পর টুইটারে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে বেভারেজ জায়ান্ট।