উপকূলে প্রবেশ করেই সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ল বুলবুল। তিন ঘন্টা সেখানে তাণ্ডব চালাতে পারে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এক দু ঘণ্টায় বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ। শনিবার সকাল থেকেই নিন্মচাপে জেরবার কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলা।তবুও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করেই নিজের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। কিন্তু বেলা যত গড়াচ্ছিল ছন্দপতন যেন বেশি করে নজর কাড়ল। ফেস্টিভ্যালের মরসুমে কার্যত ফাঁকা নন্দন চত্বর।
দুর্যোগ এদিন প্রাণ কেড়ে নিয়েছে উৎসবের। শনিবার ও রবিবার, ছুটির দিনে সাধারণত সিনেপ্রেমীরা ভি়ড় জমাতেন নন্দনে কিন্তু বৃষ্টি সমস্ত আনন্দ মাটি করে দিয়েছে। কলকাতার প্রাণে তো সিনেমা বিরাজ করে, তাই ব্যক্তিক্রমও ধরা পড়ল বটে, তবে সেটা যতসামান্য। কিছু দর্শকের উৎসাহে ভাটা নেই। বেহালার প্রতীম জানা বললেন, ''যতই ঝড়-জল হোক, সিনেমা দেখতে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসাটা বাদ দিতে পারব না''।
গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় গ্যালারি উদ্বোধনে রাখি গুলজার।
আরও পড়ুন, বাংলা ছবির একশো বছরে সেলুলয়েডে ‘মায়াকুমারী’
সে না হয় হল, কিন্তু চারিদিকের ছবিটা অন্য কথা বলছিল। ফাঁকা পড়েছিল খাবারে স্টল। এমনকী কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আড্ডা জোনও সেজে ওঠেনি বৃষ্টির কারণে।তবে কোনও স্ক্রিনিং বন্ধ করার প্রয়োজন পড়েনি। অন্যদিকে, একটু অসন্তোষ ধরা পড়েছিল নন্দন ওয়ানের ছবির স্ক্রিনিংয়ে। অন্যভাষার ছবিতে কোনও সাবটাইটেল না থাকায় বিরক্ত হয়েছেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন, ‘দের আয়ে দুরস্ত আয়ে’, অযোধ্যা প্রসঙ্গে রাখি গুলজার
এদিন উৎসবের প্রাক্কালে দেখানো হয়েছে জার্মান পরিচালক ভলকার শ্লনডর্ফের ছবি 'টিন ড্রাম'। ছবির শেষে দর্শকের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। দেখা মিলল অভিনেত্রী -মডেল অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েলের। তবে যাদের জন্য এই ফেস্টিভ্যাল, দুর্যোগ কাটিয়ে সেই দর্শক না আসতে পারাতেই ভাটা পড়ল প্রথম দিনের সিনেমা উৎসবে।