শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ছবি মাত্রই আলাদা মাত্রা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলনা। এদেশের বিরাট সাফল্যের পর ওপার বাংলায় মুক্তি পেতে চলেছে তাদের ছবি। কথা হচ্ছে 'কণ্ঠ' নিয়ে। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। এবার তাঁর নিজের দেশে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি, স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। ৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে 'কণ্ঠ'।
তবে এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের ছবি 'খাঁচা' আসছে এপার বাংলায়। দু'দেশের সমস্ত নিয়ম মেনেই সিনেমার এক্সচেঞ্জ হয়েছে। স্টার মাল্টিপ্লেক্স, বলাকা, মধুমিতা-সহ বাংলাদেশের মোট ১২টি হলে আসবে 'কণ্ঠ'। কলকাতায় মুক্তির পর ‘কণ্ঠ’ দমানো যায়নি। বক্সঅফিসে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল শিবপ্রসাদ ও নন্দিতার এই ছবি। ‘হামি’র প্রথম তিন দিনের কালেকশন আর ‘কণ্ঠ’র আয় এক ছিল। আয়ের অঙ্কটা ছিল ১১ দিনে ছিল দু’কোটির বেশি।
আরও পড়ুন, পরের পুজোয় ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ঘোষণা সৃজিতের
নিত্য চলার সঙ্গী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের যাত্রা শুরু করেন অর্জুন মল্লিক (শিবপ্রসাদ), সঙ্গ দেন পৃথা (পাওলি)। অর্জুন পেশায় জনপ্রিয় রেডিও জকি। যার কন্ঠের ফ্যান বহু শ্রোতা। আচমকাই পুরস্কারের মঞ্চে গলা দিয়ে স্বর বেরোয় না তাঁর। টেনশন। সঞ্চালিকা তো বাকরূদ্ধ বলে বিষয়টা সামলে নিলেন, কিন্তু কেন এমন হল এই চিন্তায় একের পর এক নিকোটিন কাঠি পুড়ল হাতে। তারপর জানা গেল, ল্যারিংক্স (পরিভাষায় ভয়েস বক্স)-এ বাসা বেঁধেছে কর্কট রোগ। তাও ফোর্থ স্টেজ। বাঁচতে হলে ভয়েস বক্সটাই বাদ দিতে হবে। কিন্তু কণ্ঠই যাঁর অস্তিত্ব, সেটা বাদ দিয়ে চলবে কী করে? এত টানাপোড়েনের মধ্যেও এই নতুন বাস্তব মেনে নিতে চান না অর্জুন। ছেলে এবং স্ত্রীয়ের মুখ চেয়ে রাজি হন শেষমেশ। বাদ যায় কথা বলার সাধারণ ক্ষমতা। এবার লড়াইটা অন্য।
১৯৯৯ সালে টেলিভিশনে কাজ করার সময়ে বাগযন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত বিভূতি চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শিবপ্রসাদের। তখন থেকেই ভেবেছিলেন সিনেমা তৈরি করবেন এই চরিত্রকে নিয়ে। এতদিনে বাস্তবায়িত হয়েছে তাঁর স্বপ্ন। মূলত কর্কট রোগ সম্পর্কে সতর্কীকরণের জন্যই তৈরি হয়েছে এই ছবি।