পদ্মা, নাসির আলি, গণেশ মণ্ডল আবার খুশি করতে পেরেছেন বাংলার দর্শককে। ঠিকই ধরেছেন, 'বিজয়ার' কথাই বলছি। কিছু কিছু গল্প হঠাৎ শেষ হয়ে যায় না। আর বিসর্জনের পরে বিজয়া তো আসতেই হবে। গতবছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল 'বিসর্জন', দর্শককে ভাবিয়েছিল এই ছবি। সেই ভাবনাগুলোর উত্তরই দিয়েছে 'বিজয়া'। ওপারের পদ্মা আর এপারের নাসিরকে নিয়ে পরবর্তী যে গল্প পরিচালক বেঁধেছিলেন সেটা যে সার্থক হয়েছে, দিব্যি বুঝতে পারছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
বক্স অফিসে 'বিজয়া' হাউসফুল যাচ্ছে, এই খবরে উত্তেজিত পরিচালক। বললেন, ''প্রথম দুদিন আমাদের সেরকম বিক্রি হয়নি বলে একটু ভয় পেয়েছিলাম। রবিবারের পর থেকে প্রতিক্রিয়া দুর্দান্ত। দর্শকের ভালবাসা উপচে পড়ছে।" সাহিত্য নির্ভর ছবি না হয়েও 'বিজয়া' বক্স অফিসে আলোড়ন তুলছে। অরিজিনাল গল্পের সিক্যুয়াল বাংলায় খুব একটা তৈরি হয় না। এটাই হওয়া দরকার। ছবি না করে এটার বই বেরোলেও তো সাহিত্যই হত। সিনেমার সাহিত্য তার মতো করে তৈরি। একটা মৌলিক বিষয় ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো হয়ে উঠছে," মত কৌশিকের।
ওপারের পদ্মা আর এপারের নাসিরকে পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন, আবির-পাওলি জুটি এবার দাদা সাহেব ফালকের মঞ্চে
তিনি দর্শকদের বছরখানেক অপেক্ষা করতে বলেছেন 'বিজয়ার' পরবর্তী পর্বের জন্য। কৌশিক বলেন, ''মানুষের উন্মাদনা দেখার মতো। 'বিসর্জনের' থেকেও বেশি ভাল লেগেছে 'বিজয়া'। বলছেন, পরের পার্টটা কখন হচ্ছে? বললাম বছরখানেক দাঁড়ান অন্তত। মানুষ গল্প জানতে চাইছেন, এটাই আনন্দের।"
'বিজয়া' আবার প্রমাণ করেছে মৌখিক প্রচারের অসীম ক্ষমতা। পরিচালক বলেন, ''মানুষের মুখে মুখে 'বিজয়ার' প্রশংসা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শো ঠিকমতো পেতে থাকলে 'বিজয়া' আরও এগিয়ে যাবে''।