'মহাপীঠ তারাপীঠ'-এর অন্নপূর্ণা চরিত্রের পর এবার কুয়াশা বিশ্বাস এলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজের একটি চরিত্রে, 'এখানে আকাশ নীল' ধারাবাহিকে। স্টার জলসা-র ফ্ল্যাগশিপ ধারাবাহিকের এই দ্বিতীয় কিস্তিতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে হিয়ার ডাক্তারি ছাত্রীজীবন। এই পর্যায়েই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে রয়েছেন কুয়াশা। ধারাবাহিকের গল্পে যেমন সম্পর্কই হোক না কেন, পর্দার বাইরে নায়ক-নায়িকা দুজনের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর, তেমনটাই জানালেন একান্ত আলাপচারিতায়।
''খুব ভালো লাগছে এই নতুন কাজটা। চরিত্রের নাম আয়েষা। হিয়ার জীবনে ভিলেন বলতে পারো'', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন কুয়াশা, ''হিয়ার জীবনে নতুন করে কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে। প্রচণ্ড বড়লোকের মেয়ে। ক্লাস হায়রারকিতে বিশ্বাস করে। হিয়ার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরেই আয়েষা তার জামাকাপড় নিয়ে মন্তব্য করে। আয়েষা হিয়ার সঙ্গে ডাক্তারি পড়ছে, সে নিজেও ইন্টালিজেন্ট। কারণ বদমায়েশি করার জন্যেও তো বুদ্ধি লাগে। আমার জন্য এই চরিত্রটা খুবই চ্যালেঞ্জিং।''
আরও পড়ুন: টিআরপি শীর্ষে ফিরল ‘কৃষ্ণকলি’, তৃতীয় স্থানে ‘ত্রিনয়নী’
কুয়াশা বিশ্বাস টেলিভিশনে ডেবিউ করেন সান বাংলা-র 'সীমানা পেরিয়ে' ধারাবাহিক দিয়ে। সেখানে নায়িকার চরিত্রটি ছিল একজন স্পাইয়ের যে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন বাংলাদেশে ঘটনাচক্রে হয়ে ওঠে ভারতের গুপ্তচর। বেশ কঠিন ছিল এই পিরিয়ড ড্রামার চরিত্রচিত্রণ। কুয়াশা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেন। এর পরে সম্প্রতি দর্শক তাঁকে দেখেছেন স্টার জলসা-র 'মহাপীঠ তারাপীঠ' ধারাবাহিকে দেবী অন্নপূর্ণার চরিত্রে।
টেলিভিশনে এই প্রথম কোনও নেগেটিভ চরিত্র পেলেন কুয়াশা। অভিনেত্রী হিসেবে তাই অত্যন্ত খুশি। জানালেন তাঁকে এমন একটি চরিত্রে যে ভেবেছেন সংশ্লিষ্ট প্রযোজক সংস্থা ও চ্যানেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, তার জন্য তিনি খুবই কৃতজ্ঞ। নতুন চরিত্রের আনন্দ তো রয়েছেই, পাশাপাশি নতুন প্রজেক্টে মনের মতো সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীও পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: রূপকথার নায়িকা হয়ে টেলিপর্দায় ফিরলেন শ্রীমা
''শন-অনামিকা আর আমি একই মেকআপ রুম শেয়ার করি। ওদের দুজনের সঙ্গে আলাপ হয়ে খুব ভালো লেগেছে'', বলেন কুয়াশা, ''আমরা যতটুকু সময় পাই, সারাক্ষণ সিনেমা নিয়ে, সিরিজ নিয়ে আলোচনা করি। কাজের জায়গায় সিনেমা-সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করলে পরিবেশটা অনেক হেলদি হয়ে যায়। এনার্জিটাই অন্য রকম থাকে। আমি আর অনামিকা প্রচুর রিহার্সালও করি, ফ্লোরে গিয়ে স্মুদ হয়ে যায়। প্রচণ্ড ভালো বন্ডিং হয়ে গেছে ওদের সঙ্গে খুব অল্প দিনে। এই রকম পরিবেশ আমাকে খুব এনরিচ করে। আর সেটার রিফ্লেকশন কিন্তু পড়ে সব জায়গায়। অনেক মানুষ আমাদের দেখে ইন্সপায়ার্ড হয়। আমার চেষ্টা থাকে তাদের কাছে যেন ভালোটা নিয়ে পৌঁছতে পারি।''
কুয়াশা-কে এই প্রথম কোনও সমসাময়িক চরিত্রে দেখছেন দর্শক। কারণ প্রথম ধারাবাহিকে ছিল পিরিয়ড চরিত্র এবং পরেরটিতে পৌরাণিক চরিত্র। 'এখানে আকাশ নীল'-এর আয়েষা একেবারেই ২০১৯-এর একজন উচ্চবিত্ত স্পয়েলড চাইল্ড বলা যায়। উজানের সুপুরুষ চেহারা ও তার সোশাল স্টেটাস দেখে সে আকৃষ্ট হয়। ওদিকে সিনিয়র ডাক্তার নীলিমারও উজানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। এই দুটি চরিত্রই একযোগে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি করতে চলেছে উজান-হিয়ার জীবনে যা ক্রমশ প্রকাশ্য।