/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/aindrila.jpg)
ঐন্দ্রিলার প্রয়াণের পর প্রথম হোলি শর্মা পরিবারের
মাস চারেক হল মেয়ে চলে গিয়েছে না ফেরার দেশে। হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল মেয়েটার স্মৃতিটা যেন সবসময়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছে গোটা বাড়িময়। কীভাবে বড়দের মতো সকলের খেয়াল রাখতেন। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেও দাঁতে দাঁত চিপে প্রাণশক্তি উপভোগ করতেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তবে সবই এখন স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি। দোলের দিন সেসব স্মৃতি আঁকড়েই সময় কাটছে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মার।
মেয়ে নেই। ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া প্রথম দোল। কী ভালবাসতেন সকলের সঙ্গে উৎসবে শামিল হতে। দোলে রং খেলতে। অথচ, সেই মানুষটাই তো বাড়িতে নেই। আর কোনওদিন ফিরবে না। এই তো গতবছরের কথা হইচই করে রং খেলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কে জানত যে, প্রাণবন্ত মেয়েটার সেটাই ছিল শেষ বসন্ত উৎসব উদযাপন! স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মা শিখা যে পরের দোলে মেয়ে চলে যাবে না ফেরার দেশে। তাই মাণিকের স্মৃতি আঁকড়ে হাহাকার বুকে বসন্ত উৎসবের সময় কাটাচ্ছেন শিখাদেবী। দোলের দিন ঐন্দ্রিলার উদ্দেশে বললেন, "মাণিক আজ তুমি নিজের মতো করে হোলি খেলো। আমি মন থেকে দেখি। আজ খুব মিস করছি তোমাকে।" গতবছরের স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন দিদি ঐশ্বর্যও।
গতবছর টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে দিদি ঐশ্বর্য আর বন্ধুদের সঙ্গে হার্বাল আবির মেখে দোল খেলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সঙ্গী ছিল দুই পোষ্য তোজো, বোজোরাও। তখন সদ্য ক্যানসার জয় করে নতুন জীবনের পরিকল্পনা করছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেই সুন্দর স্মৃতিটাই আজ সম্বল শর্মা পরিবারের।
<আরও পড়ুন: ‘বাঘাযতীন’-এর শুট করতে গিয়ে মারাত্মক চোট! চোখে ব্যান্ডেজ নিয়েই ‘রং-বাজি’ দেবের>
এখন ঐন্দ্রিলার টালিগঞ্জের বাড়িটা বন্ধই থাকে। দিদি দিল্লি থেকে শহরে ফিরছেন। মা শিখা মঙ্গলবারই বহরমপুর থেকে কলকাতায় এসেছেন। ছোট মেয়ে নেই। এদিকেও নিজেও দ্বিতীয়বার মারণ ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। তাঁর শরীরে নতুন করে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। শিখাদেবীর নিজেরও কেমোথেরাপি চলছে। এসবের মাঝেই মেয়েকে চোখে হারাচ্ছেন চার মাস বাদেও।