Sharda Sinha : সারদা সিনহা, যিনি বিহার কোকিলা নামে সকলের কছে পরিচিত ছিলেন। ভোজপুরী, মৈথিলি, হিন্দি লোক সংগীতে শারদার কণ্ঠের জাদু সকলকে মুগ্ধ করত। সারা জীবন সংগীত সাধনা করেছেন সারদা। ২০১৮ সালে সংগীতে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য সারদা সিনহাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে মাল্টিপল মায়লোমায় আক্রান্ত ছিলেন ৭২ বছরের এই সংগীত শিল্পী। হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃ্ত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন। ভেন্টিলেটরে যখন শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তখনও গুনগুন করে গান গাইছেন। বিছানার পাশে বসে রয়েছেন নাতনি, আর তিনি ছট পুজোর গান গাইছেন। দু মিনিটের ওই ভিডিও দেখে চোখে জল ভক্তদের। গত ৫ নভেম্বর জীবনাবসান হয় শারদার। হৃদয়বিদারক মুহূর্ত দেখে শিল্পীকে কুর্নশ জানিয়েছেন অনুরাগীরা।
নাকে নল লাগানো অবস্থাতেই গুনগুনিয়ে ছটের গান গাইছিলেন। সুরেই তাঁর চিরমুক্তি। মাল্টিপল মায়লোমা এক ধরনের ব্লাড ক্যানসার। তিনি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। সংগীতশিল্পী হিসেবে কেরিয়ারের শুরু। প্রথম থেকেই লোকসংগীতকেই বেছে নিয়েছিলেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত শিল্পী সারদা সিনহা। উল্লেখ্য, বলিউড ছবিতেও গান গেয়েছেন প্রয়াত সংগীতশিল্পী সারদা সিনহা।
সলমন খান ও মাধুরী দীক্ষিতের ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে ‘বাবুল’ গানটি গেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন সারদা। ছটের গানের জন্য সারদা সিনহা বিহারে তুমুল জনপ্রিয়। কাকতালীয়ভাবে ছটপুজোর রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সারদা। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো পোস্ট! আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ঊষসীর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করে লেখেন, 'প্রখ্যাত লোকশিল্পী সারদা সিনহার প্রয়াণে আমি শোকাহত। তিনি বিহারের কোকিলা নামেও খ্যাত ছিলেন। ভোজপুরি, মৈথিলি ও মাগধী ভাষায় তাঁর সুমধুর কণ্ঠস্বর চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিল্পীর পরিবার, পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা রইল।'
अपने आखिरी पलों में छठ गीत गाती शारदा सिन्हा जी, वीडियो देखकर आंखों में आंसू आ गया 🙏🥹 pic.twitter.com/lZCdAH7voX
— छपरा जिला 🇮🇳 (@ChapraZila) November 8, 2024
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তিনি শোকবার্তায় লেখেন, 'প্রখ্যাত লোকশিল্পী সারদা সিনহার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। গত কয়েক দশক ধরে তাঁর গাওয়া মৈথিলি এবং ভোজপুরি লোকগান অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওঁর গাওয়া ছটপুজোর বিশ্বাস সংক্রান্ত সুমধুর গানগুলো চিরকাল প্রতিধ্বনিত হবে। ওঁর চলে যাওয়া সংগীত জগতের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি'।